নিয়মিত ১টি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা জানলে অবাক হবেন
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? আমরা অনেকেই তো কলা খেতে খুব ভালোবাসি। কলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি ফল প্রায় প্রত্যেকে আমরা কলা খেতে খুব ভালবাসি। কলা সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন এলাকাতে দেখা যায় যেমন বাংলাদেশ। আপনি যদি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন। আজকের এই পোস্টে আমরা নিয়মিত ১টি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা, সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা, কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা, পাকা কলার উপকারিতা সাথে বিচি কলার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি অবাক হবেন কারণ নিয়মিত একটি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা এত বেশি যা আপনার শরীরের সমস্ত রোগবালাইকে নিমিষেই দূর করতে পারে। তবে অতিরিক্ত কলা খাওয়ার মাধ্যমে কি কি ক্ষতিগুলো হতে পারে আজকে আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়েও জানব। তাই উপকার পেতে পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন চলুন আর দেরি না করে কলার উপকারিতা ও অপকারিতা পাকা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা।
পেজ সূচিপত্র
ভূমিকা
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলগুলো কলার উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত। কলা সাধারণত উষ্ণ এলাকায় জন্মায় যেমন আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে নরসিংদী ময়মনসিংহ যশোর বরিশাল এলাকায় বেশি কলা দেখা যায়। এই এলাকাগুলোতে কলার দাম অনেক কম। কলার বিভিন্ন ধরন রয়েছে যেমন সাগর কলা বিচি কলা, আনাজি কলা। বাংলাদেশে বেশি পরিচিত হলে সাগরকলা।
ছোট থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত কলা থেকে আমরা খুবই ভালোবাসি কলা কাঁচা অবস্থায় তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় আবার পেকে গেলে সেটি ফল হিসেবে খাওয়া যায়। ছোট বাচ্চাদেরকে বেশি বেশি কলা খাওয়াতে হবে কারণ কলা খেলে বাচ্চাদের পেশী মজবুত হবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
কলা সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিগুলো ভরপুর। কলা musaceae গোত্রের উদ্ভিদ। এই গোত্রের প্রায় আরো ৫০ টি প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশী প্রায় ১৯ ধরনের কলার জাত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো বাংলা কলা বনকলা সবরি কলা, সাগরকলা বিচি কলা।
তবে কলার আরো কিছু প্রজাতি রয়েছে যেমন,
- সম্পূর্ণ বীজ ছাড়া কলা গুলো।
- সবরি কলা, অগ্নিশ্বর কলা দুধুসর কলা অমৃতা সাগর কলা দুধ সাগর কলা সাগর কলা,।
- বীয যুক্ত কিছু কলা।
- গোমা কলা, বতুর আইটা, সাঙ্গি আইতা ।
বাংলাদেশে এই কলা গুলো খুব কম দেখা যায় এই জন্য অনেকে হয়তো এই কলার নাম গুলো প্রথমবার শুনছেন। আজকের এই পোষ্টের শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা কি নিয়ে আলোচনা করব আজকের পোস্টে আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় হলো কলার উপকারিতা ও অপকারিতা। নিচে দেখুন কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
নিয়মিত ১টি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা জানলে অবাক হবেন
নিয়মিত ১টি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা জানলে অবাক হবেন। কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমি ফ্যাট খনিজ লবণ ফাইবার অথবা ৮ শর্করা পানি ক্যালসিয়াম ফসফরাস আয়রন ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এই উপাদান গুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কলা থেকে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় যা শরীরের রক্ত ও সঞ্চালন গতিকে বৃদ্ধি করে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কে বৃদ্ধি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
নিয়মিত ১টি কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক প্রতিদিন সকালে যদি আপনি একটি কলা খান তাহলে প্রচুর উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। একটি কলা থেকে প্রায় ১.৫ গ্রাম আমিষ, ০.৫ গ্রাম ফ্যাট, ০.৬ গ্রাম ফাইবার, ৭.৫ গ্রাম শর্করা এবং ৭০ পার্সেন্ট পানি পাওয়া যায়। এই উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন।
শক্তির উৎস
আপনার শরীরে কি শক্তির কমতি রয়েছে অথবা ঘাটতি রয়েছে? নিজেকে দুর্বল মনে করেন? তাহলে এখন থেকে নিয়মিত কলা খাওয়া শুরু করুন কলা থেকে ভরপুর শক্তি পাওয়া যায় যা আপনার শরীরের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করবে এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখবে।
সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়ার না করলে কিংবা শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের শক্তি পাওয়া যায় না শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে নিয়মিত একটি কলা খেতে হবে।
পাকা কলা থেকে ভরপুর গ্লুকোজ সহ ফ্রুটজ পাওয়া যায় যা রক্ততে মিশে যায় এবং শরীরের শক্তি সাপ্লাই দেওয়া শুরু করে এছাড়াও কলা থেকে ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায় যা দ্রুত হজম হয়ে যায় এবং গ্লুকোজ তৈরি করে যা দ্রুত শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
হার্ট ভালো থাকে
আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি হল হার্ট হার্ট সবচেয়ে ভারী অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি হার্টের কার্যক্রম প্রতিমুহূর্তে চলমান থাকে। আমরা যখন শুয়ে থাকি তখন আমাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলো বিশ্রাম নেয় তবে হার্ট এমন একটি অঙ্গ যা কখনোই বিশ্রাম নেয় না।
এটি প্রতি মুহূর্ত আপনার শরীরকে সক্রিয় রাখার জন্য কাজে অটুট থাকে। হার্টের কাজ হল শরীরের খারাপ রক্ত গুলোকে পরিশোধিত করা এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ গুলোতে রক্ত সরবরাহ করা যদি এই হার্ট কোনভাবে অচল হয়ে পড়ে তাহলে শরীর অচল হয়ে পড়বে অর্থাৎ ব্যক্তির মৃত্যু।
এজন্য হার্টের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী আর আপনি যদি হার্টের যত্ন নিতে চান তাহলে এখন থেকে নিয়মিত .১ টি পাকা কলা খেতে হবে। পাকা কলা থেকে ভরপুর পটাশিয়াম পাওয়া যায় । যা হার্টের পেশিগুলোকে তাজা রাখে এবং হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
পটাশিয়াম হাড় থেকে সোডিয়ামকে কমাতে থাকে যা হার্টের জন্য ভালো। হার্টের জন্য সোডিয়াম বিষ এর মত কাজ করে। হার্ট এ সোডিয়াম এর পরিমাণ যত বেশি হবে হার্টের রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা ততো বৃদ্ধি পাবে এইজন্য কলা খাওয়ার মাধ্যমে হার্ট থেকে সোডিয়াম দূর করুন এবং নিজের শরীরের সুস্থ রাখুন।
কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি
কলা থেকে ভরপুর পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যা কিডের কার্যক্ষম থেকে বৃদ্ধি করে এবং কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে কিডনি মানব শরীরের ছাঁকনি স্বরূপ কাজ করে। অর্থাৎ শরীরের সমস্ত ক্ষতিকারক পদার্থগুলোকে বর্জ্য পদার্থের রূপান্তরিত করে এবং শরীর থেকে ত্যাগ করে। এতে শরীর সুস্থ থাকে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থের পরিমাণ কমতে থাকে।।
হজম শক্তিতে উন্নতি
শরীরে হজম শক্তি দুর্বল থাকলে যে কোন খাবার গ্রহণ করার পর সেটি দ্রুত হজম হয় না এর ফলে পেট ফুলে থাকতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে দূর করতে এখন থেকে কলা খেতে পারেন কলা থেকে ভরপুর ফাইবার পাওয়া যায়। কলা ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস। হজম শক্তি দুর্বল থাকলে এখন থেকে নিয়মিত কলা খেতে হবে কলা খাওয়ার মাধ্যমে হজম শক্তি উন্নত করতে হবে।
এছাড়াও কলা থেকে আরো অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সংগ্রহ করা সম্ভব যা মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। । কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক জটিল রোগ সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না করলে পরবর্তী সময়ে এটি পাইলসের আকার ধারণ করতে পারে এর জন্য সচেতন হোন এবং নিয়মিত ১টি কলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
ভিটামিনের ভান্ডার
কলা কে ভিটামিনের ভান্ডার বলে বিজ্ঞানীরা অভিহিত করেছেন কারণ কলা থেকে প্রায় সব ধরনের খনিজ উপাদান ও ভিটামিন পাওয়া যায়। শরীর যদি ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে বাজার থেকে ভিটামিনের ঔষধ কিংবা ভিটামিনের কোন পণ্য ক্রয় করার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র প্রতিদিন কলা খেতে হবে।
কারণ কলা এখন ভিটামিনের ভান্ডার কলা থেকে ভরপুর ভিটামিন পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং শরীর থেকে যাবতীয় রোগ বালাই যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্যান্সারের ঝুঁকি, মানসিক চাপ ও আলসার দূর করতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমায়
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোন না কোন কারণ নিয়ে মানসিক চাপ থেকে থাকে মানসিক চাপ বিহীন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারণ আমাদের জীবনে বিভিন্ন সমস্যা বিস্তার করে যা আমাদের মানসিক চাপের জন্য দায়ী। অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই দেখা দেয় এই জন্য অতিরিক্ত মানসিক চাপ দূর করতে এখন থেকে কলা খেতে হবে।
কলা থেকে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এটি মানব শরীরে রক্তের সাথে মিশে যায় এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায় যার মাধ্যমে শরীরে একটি হরমোন তৈরি হয় এবং এই হরমোনটি আমাদের শরীরে আনন্দ দ্বারা অনুভূতি তৈরিতে সাহায্য করে। এই জন্য অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ১টি কলা খেতে হবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি
আমাদের অনেকেরই শরীরে রক্তস্বল্পতা সমস্যা দেখা দেয় শরীরের রক্তস্বল্পতার পরিমাণ অনেক তীব্র হলে ব্যাক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রক্ত আমাদের শরীরে স্বাভাবিক কার্যক্রমকে সচল রাখে যদি কোনভাবেই রক্তের পরিমাণ কমে যায় তাহলে শরীরে নানান প্রকার সমস্যা দেখা দিবে এই জন্য রক্তস্বল্পতার সমস্যা কি দূর করতে এবং শরীরের রক্তের পরিমাণ কি বৃদ্ধি করতে কলা খেতে হবে।
কলা থেকে আয়রন পাওয়া যায় যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে এবং রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে এছাড়াও কলা থেকে ভিটামিন বি ৬ পাওয়া যায়। ভিটামিন বি ৬ রক্তের লোহিত কণিকার পরিমাণকে বৃদ্ধি করে।
ওজন কমাতে ও বাড়াতে সক্ষম
কলা খাওয়ার মাধ্যমে এখন আপনি আপনার ওজনকে হ্রাস বৃদ্ধি করতে পারবেন। আমরা অনেকেই ওজন নিয়ে চিন্তিত রয়েছি কারন অনেকের ওজন বেশি আবার অনেকের ওজন কম পারফেক্ট ওজন পাওয়া খুবই মুশকিল। অতিরিক্ত ওজন হলে দেখতে খারাপ লাগে আবার অতিরিক্ত ওজন কম হলেও দেখতে খারাপ লাগে। এজন্য পারফেক্ট বডিশেপ পাওয়া খুবই জরুরী আর পারফেক্ট বডি শেপ পেতে প্রতিদিন কলা খেতে হবে।
তবে কলা কিভাবে ওজন হ্রাস বৃদ্ধি করে? আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে প্রতিদিন ২টি একটু কলা খাবেন। প্রতিদিন দুইটি কলার সাথে এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিবেন এতে দ্রুত হারে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর যদি ওজন কমাতে করতে চান তাহলে প্রতিদিন ১ টি কলা খাবেন তাহলে আপনার ওজন কমতে থাকবে।
আরো সহজ ভাষায় বলি আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদি সকালে ১টি কলা খেয়ে নিবেন এতে দীর্ঘস্বর দীর্ঘ সময় অব্দি আপনার পেট ভরা অনুভূতি হবে এবং ক্ষুধা কম লাগবে এতে ওজন কমতে পারে। আর যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ২টি কলার সাথে দুধ খেয়ে নিবেন এদের দ্রুত হারে ওজন বৃদ্ধি পাবে কারণ কলা থেকে প্রচুর ফ্যাট পাওয়া যায়। যা সরাসরি ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি
আপনি কি সুন্দর ত্বক পেতে চান? আমরা সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য অনেকে কত প্রকার প্রোডাক্ট ব্যবহার করি তবে এখন থেকে আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে শুধুমাত্র কলা খাওয়ার মাধ্যমে ত্বকের সৌন্দর্য তাকে ভিতর থেকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।
কলা থেকে ভিটামিন বি ২ পাওয়া যায় যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ত্বককে টানটান করে এবং উজ্জ্বল ফর্সা করে তোলে। এছাড়াও আপনারা যারা কোরিয়ানদের মতো গ্লাস স্কিন পেতে চান তারা এখন থেকে নিয়মিত কলা খাওয়া শুরু করুন।
কলা থেকে ভরপুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সংগ্রহ করা যায়। এই উপাদানগুলো সরাসরি ত্বককে গ্লাস স্কিন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলা সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন। সুন্দর তক পেতে নিয়মিত ত্বকে কলার ম্যাসাজ করবেন এতে দ্রুত ব্রণের সমস্যা দূর হবে। এবং ত্বক উজ্জ্বল ফর্সা হবে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
ক্যান্সারের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই অবগত রয়েছি ক্যান্সার এমন একটি বোরনবাদী রোগের নাম যার চিকিৎসা বর্তমান সময়ে এই পৃথিবীতে এখনো আসেনি এই জন্য ক্যান্সারের কবলে যদি একবার যদি কেউ পড়ে তাহলে তার মৃত্যু নির্ধারিত। তবে আপনি চাইলে সারা জীবনের জন্য আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করতে পারেন।
শুনে খুব অবাক করছেন তাই তো? সাধারণ কলা কিভাবে ক্যান্সারের যদি কমাতে পারে? কলা থেকে টি এন এফ নামক একপ্রকার উপাদান পাওয়া যায় যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এটি শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণকে বৃদ্ধি করে। এতে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশ কমে যায়।
প্রিয় পাঠকবৃন্দরা আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কলার উপকারিতা সম্পর্কে। কলার উপকারিতা অনেক আপনারা যদি নিয়মিত ১টি কলা খান তাহলে প্রচুর উপকারিতা লাভ করতে পারবেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি কলার অপকারিতা গুলো।
কলার অপকারিতা
কলার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে। সঠিক নিয়মে কলা না খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আপনারা যারা অলরেডি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভুগছেন তারা অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কলা আপনার ওজন কে আরও অতিরিক্ত বৃদ্ধি করতে থাকবে। আর ওজন যত বৃদ্ধি পাবে শরীরের রোগবালায়ের হার ঠিক ততই বৃদ্ধি পাবে।
- অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে যদি খালি পেটে কলা খান তাহলে গ্যাসের সমস্যা দিবে।
- উচ্চমাত্রায় কলা খাওয়ার পরে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্য মহিলাদের দেখা দিবে যার ফলে হৃদয় হতে পারে।
- আপনারা যারা অলরেডি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন তারা অতিমাত্রায় কলা খাওয়া বাদ দিন কলা থেকে ঠান্ডা জনিত কিছু উপাদান পাওয়া যায় যা শ্বাসকষ্টের পরিমাণ কে আরো বৃদ্ধি করতে পারে।
- এক্ষেত্রে আপনারা শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। যাদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি তারা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই অবস্থায় কলা খেলে হাইপার ক্যালিমিয়ার রোগ দেখা দিবে পাশাপাশি কিডনির জটিলতা এবং মাথা ঘোরার সাথেই অতিরিক্ত হৃদপিন্ডের স্পন্দন দেখা দিতে পারে।
- ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়া যাবে না।
- মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কলা না খাওয়াই ভালো। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকা অবস্থায় কলা খেলে কলা থেকে টাইরামাইন নামক এক ধরনের যোগ্য রয়েছে যা মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ।
- অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত কলা খেলে ডায়াবেটিসে মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কলার অপকারিতা সম্পর্কে। কলার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে । কলা সবার জন্য উপকারী খাদ্য নয়। শরীরে ডায়াবেটিসের পরিমাণ অনেক তীব্র থাকলে কিংবা পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকলে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এছাড়াও যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভুগছেন এবং ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকলে দিনে একটি কলা খেতে পারেন এতে ওজন কমতে পারে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলা এমন একটি ফল যা সবজি হিসেবে খাওয়া যায় আবার ফল হিসেবে খাওয়া যায় পড়া যখন পাকা অবস্থায় থাকে তখন সেটি ফল হিসেবে আমরা খাই এবং যখন কলা কাঁচা থাকে তখন আমরা সবজি হিসেবে ব্যবহার করি। কাঁচা এবং পাকা উভয় কলার উপকারিতা অনেক সাথে কিছু অপকারিতা রয়েছে আজকে আমরা কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দেখব।
পাকা কলা যেমন একদিকে সুস্বাদু আর একদিকে কাঁচা কলার তরকারি অনেক বেশি সুস্বাদু বাংলাদেশ বেশিরভাগ মানুষ কাঁচা কলার তরকারি খেতে খুব ভালোবাসে। কাঁচা করা তরকারি খাওয়ার তুলনাই কাঁচা কলা সরাসরি সিদ্ধ করে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা লাভ করা সম্ভব কাঁচা কলার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন।
- কাঁচা কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।
- হৃদরোগের ঝুকি কামায় এবং হার্টের কার্যক্ষমতা কে উন্নত করে।
- কাঁচা কলা হাজারো পুষ্টি সমাহার যার শরীরের ভিটামিনের ঘাটতিকে দূর করে।
- হজম শক্তিকে আরো উন্নত করে।
- কাঁচা কলা মুখের রুচিকে বৃদ্ধি করে।
অপকারিতা
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।।
- হজম শক্তির বিনষ্ট হতে পারে।
- এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
কাঁচা কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কাঁচা কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করে আপনারা যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভুগছেন অথবা ডায়াবেটিসে নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তাদের জন্য কাঁচা কলা সেরা ঔষধ।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ বলতে বোঝায় যখন হার্ট শরীরের অন্যান্য অঙ্গ গুলোতে রক্ত সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে চাপ প্রদান করতে থাকবে সেই অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বলবে।
তবে চিন্তার কিছু নেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কাঁচা কলা খেতে পারেন। কলা খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব পাশাপাশি কাচা কলা বিভিন্ন পুষ্টির সমাহার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতিকে দূর করে।
কাঁচা কলা হজম শক্তিকে আরো উন্নত করে এবং মুখের রুচি বৃদ্ধি করে। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের খাবার খেতে মন চায় না অর্থাৎ খাবারের অনীহা দেখা দেয় এই সময় কাঁচা কলা খেতে পারেন। কাঁচা কলা খাওয়ার মাধ্যমে মুখের রুচি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
কলার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। অতিরিক্ত কলা খাওয়ার পরে হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে পাশাপাশি এলার্জিটিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এছাড়া অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিবে।
তাই অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন বিশেষ করে যারা অলরেডি অ্যালার্জি সমস্যায় ভুগছেন এবং অতিরিক্ত ওজন এবং ভুগছেন তারা অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা।
সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি কি সাগর কলা খেতে খুব ভালোবাসেন? ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত সাগর কলা খেতে খুব ভালোবাসি সাগর কলার উপকারিতা অনেক সাগর কলা খাওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায় পাশাপাশি সাগর করা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং সাগর কলা খাওয়ার ফলে আরও বিভিন্ন উপকারিতা লাভ করা সম্ভব। সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য লাভ করতে নিচে দেখে নিন।
সাগর কলার উপকারিতা
- সাগর কলা থেকে ভিটামিন বি ৬ পাওয়া যায় যা ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে টানটান ও লাবণ্যময় করে তোলে।
- সাগর কলা থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। যা হার্টের কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং হৃদরোগের আশঙ্কাকে দূর করে।
- সাগর কলা থেকে ফাইবার পাওয়া যায় যা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা কে দূর করে এবং হজম শক্তিকে উন্নত করে।
- সাগরকলা থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
সাগর কলার অপকারিতা
- অতিরিক্ত সাগর কলা খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে সাগরকলা থেকে প্রচুর ফ্যাট পাওয়া যায় যা ওজন বৃদ্ধি করে।
- অতিরিক্ত সাগর কলা খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পাকা কলা খেলে ঠান্ডা জড়িত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সাগরকলা একদিকে যেমন উপকারী আর একদিকে অপকারী এইজন্য অতিরিক্ত সাগর কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত সাগর কলা খেলে মৌসুমের সমস্যা গুলো দেখা যায় যেমন জ্বর,সর্দি ,কাশি। তবে সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও রয়েছে যেমন সাগর কলা থেকে পটাশিয়াম পাওয়া জায়গা হার্টের জন্য উপকারী পাশাপাশি সাগর কলা থেকে ফাইবার পাওয়া যায় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কে দূর করতে পারে।
পাঠক আশা করছি আপনারা সাগরকলার উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন সাগর কলার উপকারিতা এবং এনার্জি কলার উপকারিতা প্রায় একই সাথে বিচি কলার উপকারিতা একটু বেশি। বিচি কলা থেকে ভরপুর পটাশিয়াম পাওয়া যায়, এটা হার্টের জন্য খুবই উপকারী এ জন্য বেশি বেশি বিচি কলা খেতে হবে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখলাম কাঁচা কলার উপকারিতা পাকা কলার উপকারিতা কলার উপকারিতা অপকারিতা সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা আনাজি হওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সাথেই বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা। কলা পাকা এবং কাঁচা উভয় স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কাঁচা কলা যেমন সুস্বাদু সাথে পুষ্টিগুণে ভরপুর তেমনি পাকা কলাও ভিটামিনের ভান্ডার বললেই চলে।
পাকা করা থেকে ভরপুর শর্করা ফ্যাট ফাইবার সহ প্রায় সকল ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় । কলা এটি ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি আমরা তরকারি হিসেবেও কাঁচা কলা খেতে পারি। কাঁচা কলা এবং পাকা কলা উভয়েই হাজারো ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকাতে কলা ডাকবেন কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তবে লক্ষ্য রাখবেন অতিরিক্ত কলা খাওয়া যাবেনা। অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে পাশাপাশি ঠান্ডা জড়িত সমস্যা দেখা যেতে পারে।
কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ওপরে দেখে নিন আমরা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় আজকের এই পোস্টে আলোচনা করেছি। কলার বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। যেমন সাগর কলা সব্রী কলা আনাজি কলা বিচি কলা। এই প্রতিটি প্রজাতির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের এই কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে পোস্টটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url