পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম কি - কি খেলে পাইলস ভালো হয়

টাইলসের চিকিৎসা ঔষধের নাম কি? কি খেলে পাইলস ভালো হয় জানতে চান?? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আপনি কি দীর্ঘদিন থেকে পাইলসে ভুগছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখুন কি খেলে পাইলস ভালো হয় এবং পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ পাইলসের চিকিৎসা ঔষধের নাম কি সেই সকল বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা হবে। 
পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম কি - কি খেলে পাইলস ভালো হয়
আপনি যদি এই নিয়ম গুলো মেনে চলেন তাহলে ১০০% গ্যারান্টি সহ মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই পাইলস থেকে চিরতরে রেহাই পেয়ে যাবেন। পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম কি , কি খেলে পাইলস ভালো হয় ,পাইলস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না, পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এবং কি খেলে পাইলস ভালো হয়??

পাইলস কি?

পাইলস হলো একটি রোগের নাম এর অপর নাম হল অশ্ব রোগ। এটি সাধারণত মলদার কিংবা পাই পথের ভেতরে হয়ে থাকে ভেতরের অংশগুলো পুড়ে যায় রক্তনালী কিংবা টিস্যু প্রসারিত হয় এতে মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভূত হয় রক্তপাত কিংবা অস্বস্তিকর অবসর সৃষ্টি হতে পারে। 

ল্যাটিন শব্দ পিলি থেকে এই শব্দটির উদ্ভব হয়েছে পাইলস। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা হলে ১৬ কোটি এই ১৬ কোটি জনসংখ্যা এর মধ্যে এই গবেষণা দেখা গেছে যে যাদের বয়স ৩০ এর ওপরে এবং ৪০ এর নিচে তারাই সবচেয়ে বেশি এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে।। 

আরো পড়ুন: ভিগোজেল এর কাজ কি, উপকারিতা, অপকারিতা সম্পর্কে A - Z
নারীরা যদি গর্ভকালীন সময়ে এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। পাইলস সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অতিরিক্ত জোর করে মলত্যাগ করার সময় কিংবা পরিবারের কারন এই রোগের চিহ্ন থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম এ রোগ দেখা দেয়। 

তিনবার দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা অথবা বসে থাকার কারনেও তৈরি হতে পারে কিংবা খাবার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার কারণে অথবা অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাবার কারণে অথবা অনেক স্ট্রিট ডায়েটের কারণে পাইলসের সমস্যা তৈরি হয়। 

আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন পাইলস কি?? পাইলস হলো একটি অস্বরোগ। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পাইলস রোগে কারা আক্রান্ত হয়??

পাইলস রোগে কারা আক্রান্ত হয় 

পাইলস এর অপর নাম হল অর্শ রোগ বাংলাদেশের এটি খুবই সাধারণ একটি রোগ। তবে যদি এদিকে অবহেলা করা হয় তাহলে স্বার্থের ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষটাই এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। শিশুরা খুব কম আক্রান্ত হয়। 

প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষরা সবচেয়ে বেশি এই পাইলস দ্বারা আক্রান্ত হয় গবেষণায় জানা গেছে যে প্রায় ২০ শতাংশ পুরুষ ও ৮ শতাংশ নারীরা এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি এরও বেশি রয়েছে কিন্তু গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে প্রায় ৩ কোটি থেকে ৩.৩ কোটি মানুষ এই পাইলস কিংবা অর্শ রোগ দ্বারা বাংলাদেশে আক্রান্ত রয়েছে। 

শিশুরা খুব কম এই রোগে আক্রান্ত হয়। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্করায় এ রোগে আক্রান্ত হয় যদি খাবারে আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ খুব কম থাকে কিংবা পারিবারিক ইতিহাস থাকে তাহলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়।

এই রোগ থেকে বাঁচতে বেশি বেশি আস কিংবা ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যেমন ফলমূল শস্য শাকসবজি এবং প্রতিদিন কমপক্ষে 10 থেকে 12 গ্লাস পানি পান করতে হবে।। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পাইলস রোগে কারা আক্রান্ত হয়?? এবার চলুন আমরা দেখে আসি পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ? 

পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ 

যারা পাইলস দ্বারা ভুগছেন তাদেরকে জানতে হবে যে পায়েল হলে কি কি খাওয়া নিষেধ?? বর্তমান সময় বাংলাদেশে এই রোগটি অতি সাধারণ হিসেবে গণনা করা হলেও যদি এই রোগ কে আপনি অবহেলা করতে থাকেন তাহলে এটি অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করবে 

এবং আপনার স্বার্থের অনেক ক্ষতি করবে তাই আপনাকে জানতে হবে যে পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এবং সেই খাবারগুলো খাবার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে আসুন আমরা দেখে নেই পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ কোন কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা।
  • অতিরিক্ত মশলাযুক্ত কিংবা ঝাল যুক্ত খাবার 
  • অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার 
  •  ক্যাফেইন যুক্ত খাবার 
  • বেকেট খাবার গুলো 
  • অ্যালকোহল 
  • সাদা চাল 
  • ফাস্টফুড
  • চকলেট 
  • অতিরিক্ত ফ্যাট কিংবা চিজ জাতীয় খাবার 
  • গরুর মাংস খাসির মাংস 
যদি পায়েস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে ডেইলি খাবার তালিকা থেকে অতিরিক্ত যুক্ত খাবার গুলো বাদ দিয়ে দিতে হবে আপনারা অনেকেই প্রচুর ঝাল খেতে ভালোবাসেন শুধুমাত্র ঝাল খেলেই হবে না ঝাল খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর এই বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। 

আপনি যদি এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও নিয়মিত অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করেন তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করবে যা আপনার জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ তাই অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় বিরানি তরকারি কিংবা ঝাল মুড়ি খাওয়া বাদ দিয়ে দিতে হবে।

আপনারা অনেকেই বাইরের খাবার খেতে খুব ভালোবাসেন। ফাইলস দ্বারা আক্রান্ত হলে এই সময় অতিরিক্ত বাইরের খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে দিতে হবে পাশাপাশি আঁশ কম রয়েছে এমন খাবার গুলো খাওয়া যাবে না যেমন চকলেট এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলোতে আর কম রয়েছে।

বেশি বেশি ফাইবার পাওয়া যায় এমন খাবার গুলো বেশি খেতে হবে। সবচেয়ে বেশি ফাইবার পাওয়া যায় শাকসবজি থেকে যেমন ডাটা সজনের ডাটা পুইয়ে ডাটা শাক সবজি ইত্যাদি। সজনে ডাটা থেকে সবচেয়ে বেশি ফাইবার পাওয়া যায়। 

আপনি যদি নিয়মিত সজনে ডাটা খাওয়া শুরু করেন তাহলে আশা করছি আপনার সমস্যা কিছুটা হলেও কমতে পারে। আর পাইলস দ্বারা আক্রান্ত হলে রেডমিট খাওয়া যাবেনা। লাল মাংস যেমন গরুর মাংস খাসির মাংস এগুলো আপনার সমস্যা কে আরো বাড়িয়ে দিবে। 

অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার খাওয়া যাবে না যেমন সমুচা পরোটা সিঙ্গাড়া ইত্যাদি। এই খাবারগুলো হজম শক্তিতে সমস্যা সৃষ্টি করে যার ফলে পাইলস এর সমস্যা আরো বেড়ে যায়। পায়েলস দার আক্রান্ত হলে অ্যালকোহল পান করা যাবেনা অ্যালকোহল পানির তৈরি করে যা আপনার পাইলসের জন্য অনেক ক্ষতিকর। 

আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পাইলস হলে কি কি খাবার নিষেধ পাইলস হলে ওপরের এই খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা এবং নিয়মিত 14 থেকে 15 ক্লাস পানি পান করতে হবে আর বেশি বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

যেমন শাকসবজি থেকে যেহেতু প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায় তাই প্রতিদিন একটি বাটির মধ্যে শাকসবজি সিদ্ধ করে নিয়ে এসে খাওয়া শুরু করবেন আর হ্যাঁ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তখন আপনারা খাওয়া শুরু করবেন যদি খাবারের লবণ কম হয়।

তাহলে কাঁচা লবন নিয়ে খাওয়া যাবে না এটি পাইলসের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয়। তরকারিতে প্রয়োজন হলে লবণের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিবেন তবুও কাঁচা লবণ নিয়ে তরকারির সাথে খাওয়া যাবেনা।

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম কি 

আপনি কি পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম কি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন যদি আপনি পাইলস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য উপকারী। 

দীর্ঘদিন থেকে যদি এর আগে সমস্যা থাকে তাহলে ঔষধ সেবন করতে হবে আর যদি কিছুদিন থেকে পাইলসের সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং অষ্টগঠনের সমস্যা রয়েছে তাহলে আপনাকে জানতে হবে কি খেলে পাইলস ভালো হয় সেই খাবার গুলো নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে পাইলস সেরে উঠবে।

আর যদি দীর্ঘদিন থেকে এই সমস্যা থাকে তাহলে ঔষধ ছাড়া কোন উপায় নেই। পাইলস এর অপর নাম হল অশ্ব রোগ যদি আপনি এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে প্রথমে আপনার খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে অতিরিক্ত আজ জাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করতে হবে।

প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ গ্লাস পানি পান করতে হবে পাশাপাশি মলত্যাগ করার সময় অতিরিক্ত চা প্রদান করা যাবে না। পাইলস শুরু হয় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে যখন কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘদিন থেকে হয় তখন এই পাইলসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। পাইলসের সমস্যা রোধ করতে আপনি ঔষধি উদ্ভিদের মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে পারেন। 

যেমন ত্রিফলা চূর্ণ-বহেরা অ্যালোভেরা রস পুদিনা পাতার রস লাল শাকের রস কালোজিরা আমলকি হাড়িতকি। এই উদ্ভিদগুলো ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন এই উদ্ভিদের রস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এটি অতি দ্রুত আপনার পাইলসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে নিচে দেখুন পয়েন্ট আকারে নাম গুলো দেওয়া হলো। 
  • হরতকি আমলকি 
  • বহেড়া 
  • এলোভেরা রস 
  • ত্রিফলার চূর্ণ 
  • পেয়ারা পাতার সেদ্ধ পানি 
  • পুদিনা পাতা রস
  • কালোজিরা 
  • হলুদের গুঁড়া 
  • শাকের রস 
এই উদ্ভিদের রস থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় ফাইবার পাওয়া যায় যা হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে অন্তর পরিষ্কার করতে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কে দূর করে এবং পাইলস থেকে যে ব্যথা সৃষ্টি হয়।

সেই ব্যথাকে দূর করতে সাহায্য করে পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যদি আপনার সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে থাকে তাহলে আপনাকে ঔষধ সেবন করতে হবে সেক্ষেত্রে কিছু ওষুধের তালিকা দেওয়া হল এই ঔষধগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে দেওয়া রয়েছে।
  • Pailsnix combo
  • Pilazac
  • Piles relief 
  • Anti piles
  • Stop piles vedabay
  • Piles care capsule 
  • Pile saaf
  • Zenius hemo plus piles
  • Pile best
  • Pile pill
এখন পাইলসের সমস্যা দূর করতে আর অপারেশনের কোন প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র এই ট্যাবলেট গুলো সেবন করলেই আপনার পাইলসের সমস্যা চিরতরে দূর হয়ে যাবে যদি দীর্ঘদিন থেকে আপনার পাইলসের সমস্যা থাকে। 

পাইলসের সমস্যা কিন্তু একদিনে হয় না এটা ধীরে ধীরে হয়ে আসে অর্থাৎ দীর্ঘদিন থেকে যদি মলত্যাগের সমস্যা থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকে এবং এই সমস্যাকে যদি আপনি অবহেলা করতে থাকেন তাহলে পরবর্তী এটি পাইলসের রূপ ধারণ করে। 

তবে পাইলস হলে এখনো চিন্তার কোন কারণ নেই আগে পাইলস হলে অপারেশন করতে হতো এই সেই অনেক ঝামেলা ছিল কিন্তু বর্তমান সময় এখন আপনারা শুধুমাত্র সেবন করার মাধ্যমে পাইলসের সমস্যা চিরতরে দূর করতে পারবেন। 

যদি পাইলসের সমস্যা আপনি দূর করতে চান তাহলে আপনাকে উপরের এই ওষুধগুলো সেবন করতে হবে তবে এই ঔষধ গুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে হলেও আপনার আসলে কোন সমস্যাটি হয়েছে এবং কোন ওষুধটি আপনার প্রয়োজন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

পাইলস কমব বর্তমান সময়ে পাইলস দূর করতে এই কম্ব প্যাকেজটি খুবই উপকারী। এ কর্ম প্যাকেজের দুই টি ঔষধের বোতল দেওয়া হয় একটির মধ্যে শুধুমাত্র ক্যাপসুল থাকবে আর অপরের মধ্যে কিছু গুঁড়ো থাকবে এই গুঁড়ো গুলো নিয়মিত পানির সাথে গুলিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে পাইলসের সমস্যা আপনার চিরতরে দূর হয়ে যাবে।

অথবা আপনি পাইলস কেয়ার কিংবা পাইলস বেস্ট এই ঔষধগুলো সেবন করতে পারেন এই ঔষধ গুলো পাইলস দূর করতে খুবই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে তবে যে কোন ঔষধ সেবন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন তাহলে আশা করছি ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন।

আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পায়েলসের চিকিৎসা ওষুধের নাম কি?? উপরে আমরা পায়েল সে চিকিৎসা এবং ঔষধ গুলোর নাম সম্পর্কে আলোচনা করলাম এবার চলুন আমরা দেখে আসি কি খেলে পাইলস ভালো হয়? 

কি খেলে পাইলস ভালো হয়

কোন কিছু খাওয়ার মাধ্যমে কি পাইলস কখনো ভালো হয়?? হ্যাঁ যদি প্রথম অবস্থাতে আপনার সমস্যা থাকে এবং খুব দ্রুত আপনি এটি সনাক্ত করতে পারেন তাহলে আশা করছি কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করার মাধ্যমে 

এই পায়েলসের সমস্যা কি দূর করা সম্ভব কিন্তু যদি দীর্ঘদিন থেকে আপনার এই সমস্যা থাকে তাহলে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। পায়েলস ভালো করার জন্য বেশি বেশি ফাইবার যুক্ত অথবা আশ যুক্ত খাবার খেতে হবে।

পাইলস দূর করতে চাইলে আপনাকে বেশি বেশি আসে ভরপুর হাইড্রেট রয়েছে এমন খাবার গুলো খেতে হবে যেমন শাকসবজি ফলমূল ব্রাউন রাইস চিড়া পেঁপে আপেল লালশাক পালং শাক মিষ্টি কুমড়া কলা, ড্রাগন ফল ডাটা। পেঁপে থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। 

কাঁচা এবং কাকা উভয় পেঁপে থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যদি আপনি কষ্ট-কাশি না কিংবা পাইলসের সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত প্রচুর পেপে খাওয়া শুরু করুন পাকা পেঁপে খাওয়া শুরু করুন পাকা পেঁপের সাথে কোন লবণ নিবেন না। 

কাঁচা পেপের তরকারিতে হালকা লবণ হালকা মসলা ব্যবহার করে খাওয়া শুরু করুন পাশাপাশি বাটির মধ্যে মিষ্টি কুমড়া কলা লাল শাক আরো অন্যান্য শাকসবজি সিদ্ধ করে বাটিতে নিয়ে খাওয়া শুরু করুন। আশা করছি যদি আপনি এই নিয়মগুলো অনুসরণ করেন,

তাহলে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চিরতরে আপনার এই পাইলসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। যদি আপনি ভালভাবে খাওয়া-দাওয়া করেন এবং অতিরিক্ত ভাত ফাস্ট ফুড এবং ভাজাপোড়া ও মসলা জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দেন আর বেশি বেশি এই শাক সবজি ফলমূল খাওয়া শুরু করেন,

তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার পাইলসের সমস্যার চিরতরে একদম দূর হয়ে যাবে। আপনি কি পাইলসে আক্রান্ত?? তাহলে আজ থেকেই প্রতিদিন দুপুরে বাটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সবজি সিদ্ধ করে হালকা লবণ ও মসলা দিয়ে খাওয়া শুরু করুন এর মধ্যে কোন ভাত নিবেন না। 

যদি অতিরিক্ত ভাত খেতে ইচ্ছা করে কিংবা ক্ষুদা লাগে তাহলে লাল চালের ভাত খাওয়া শুরু করুন। আর যে কোন খাবার কে বেশি বেশি চিবিয়ে খেতে হবে। এতে দ্রুত খাবারটি হজম হয়ে যাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হবে না। প্রতিদিন নিম্নে ও ১৪ থেকে ১৫ গ্লাস পানি পান করবেন। 

যত বেশি পানি পান করবেন তত বেশি আপনার শরীর সুস্থ থাকবে ত্বক ভালো থাকবে অল্প বয়সে আপনার চোখমুখে বয়সের ছাপ পড়বে না। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কি খেলে পাইলস ভালো হয়। পাইলস ভালো করছি শুধুমাত্র এই নিয়মগুলো অনুসরণ করুন তাহলে আশা করছি মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চিরতরে পাইলস থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন।

অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা

আপনি কি অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা করতে চান?? অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা করা যায় হ্যাঁ এখন অপারেশন ছাড়াও পাইলসের চিকিৎসা রয়েছে আগে পাইলস হলে আমরা অনেক ভয় পেয়ে যেতাম কারণ এটি একটি মরণব্যাধি লোক হিসেবে পরিচিত ছিল। 

এবং পাইলস হলে অপারেশন করতে হতো এ বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই জানতাম কিন্তু বর্তমান সময়ে এখন পাইলস ফলে অপারেশন এর কোন প্রয়োজন নেই আপনি যদি ওপরের উপাগুলো অনুসরণ করেন যেমন খাদ্য আভাসে পরিবর্তন আনেন বেশি বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ আর সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো গ্রহণ করেন।

এর সাথে যদি উপরের ওষুধ সেবন করেন তাহলে আশা করছি পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়ে যাবেন এছাড়াও এখন পায়েল সম্পর্কে বিশেষ কিছু চিকিৎসকরা পাইলসকম্ব প্যাকেজ নিয়ে এসেছেন যে কর্ম প্যাকেজ একমাস সেবন করলেই আশা করছি চিরতরে পাইলসের সমস্যা কোন অপারেশন ছাড়াই দূর হয়ে যাবে। 

পাইলস এর মলম নাম 

আপনি কি পাইলস এর মলম নাম সম্পর্কে জানতে চান পাইলসের কোন মলমটি সবচেয়ে ভালো হবে?? যদি আপনার কোষ্ঠকাঠির সমস্যা থাকে তাহলে গোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বেশি বেশি ঘরোয়া খাবার গুলো খেতে হবে এবং শাকসবজি খেতে হবে আর খাবারের সময় অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা যাবে না।

মসলা কম ব্যবহার করতে হবে এই নিয়মগুলো মেনে চললে সমস্যা দূর হবে আর পাইলসের সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয় না কিংবা একদিনে তৈরি হয় না পাইলসের সমস্যা ধীরে ধীরে হয় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরবর্তী সময় পাইলস হয়,

যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে না পারেন তাহলে পরবর্তীতে এটি পাইলস হবে তাই পাইলস থেকে বাঁচতে কিছু মলম ব্যবহার করতে পারেন। নিচে সেই পাইলস এর মলম নাম দেওয়া হল।
  • Pilosol ointment 
  • Pails cure
  • Hamamelis ointment 
  • Pyle
  • China dictamni piles cream
  • Erian
  • Pilex forte
এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করলে আশা করছি ফাইল সে সমস্যা দূর হবে এইগুলো আপনার মলকে নরম করতে সাহায্য করবে এবং অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য চাপ দূর করবে। এই মলমগুলো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে হবে।

এই মলমের পাশাপাশি ঔষধ সেবন করবেন তাহলে আরো ভালো ফলাফল লাভ করবেন আশা করছি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন পাইলসের মলম নাম সম্পর্কে এবং কোন মলম গুলো ভালো হবে। 

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠকের আর্টিকেলে আলোচনা করলাম পাইলস এর মলম নাম, পাইলস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না, পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম কি, পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ, কি খেলে পাইলস ভালো হয় 

এবং পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সেই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম যারা পাইলসের রোগে আক্রান্ত রয়েছেন তারা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ দেখুন আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন পাইলস রোগ সম্পর্কে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url