অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়? আর ইনকাম কেমন?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় এ ব্যাপারটা হয়তো নতুন মার্কেটারদের অজানা। কমিশন ভিত্তিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করতে চাইলে আগে জানুন কত পার্সেন্ট কমিশন দেয়। তাছারাও আরো জানুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন, এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার, মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় কি?
এই বিষয় গুলো আগে ভালো করে জানুন তারপরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার চেষ্টা করুন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক প্রফাইল, ইনস্টাগ্রাম এবং ব্লগ একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে সহজেই আয় করতে পারবেন। তো বন্ধুরা আর দেরি না করে জেনে নিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় বিস্তারিত জানুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মানে কোন কোম্পানী বা ওয়েবসাইড থেকে বিক্রিত কোন পণ্য আমরা যদি বিক্রয় করে দিলে তার বিনিময়ে কোম্পানী আমাদেরকে কমিশন অথবা টাকা প্রদান করে থাকে তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
সহজ কথায়, মনে করেন, আপনার ওয়েবসাইড বা পেজ থেকে দারাজ কোম্পানীর একটি ওয়াশিং মেশিন বিক্রি করে দিলেন ৪৫ হাজার টাকায়। এই ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিলে কোম্পানী আপনাকে ৫% কমিশন দেবে। এই ৫% কমিশনকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
আরো বিস্তারিত ভাবে বুঝাই, কোন কোম্পানী যেমন, daraz.com অথবা amajon.com এরকম বড় বড় কোম্পানী গুলোর পণ্য আমি অথবা আপনি যে কেউ বিক্রয় করে দিলে তার বিনিময়ে ঐ কোম্পানী গুলো কমিশন ভিত্তিক টাকা দিয়ে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
যেমন, ১০০০ টাকার পণ্য বিক্রিয় করলে ২৫ টাকা কমিশন দেবে। অথবা ২,০০০ টাকার পণ্য বিক্রয় করে দিলে ৫০ টাকা কমিশন দিবে। এভাবে প্রডাক্টের মূল্যর উপর ভিত্তি করে কমিশন দেয়। তো এরকম মার্কেটিং করাকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
দেশের বড় বড় কোম্পানীর পণ্য গুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রয় বিক্রয় করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদেরকে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যাবহার করতে হয়।
পণ্য বিক্রয় করার পদ্ধতি গুলো হলো কনটেন্ট মার্কেটিং,অর্গানিক সার্চ ইন্জিন অপ্টিমাইজেশন, ইমেইল মার্কেটিং, পেইড সার্চ ইন্জিন মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি মাধ্যমে পণ্য গুলো বিক্রয় করে থাকে। যার বিনিময়ে কোম্পানী বিক্রেতাকে কমিশন অথবা টাকা দিয়ে থাকে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো- প্রত্যেকটা মানুষ তার ইনকাম সোর্চ বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়তই অনলাইনে ইনকামের বিভিন্ন উৎস খুজে থাকে। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে এমন সকল কাজ আছে যে গুলো আপনি অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন।
তার মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো ধারনা গুলো আমাদের ইনকামের নতুন উৎস। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার চিন্তা করার আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো তা নিয়ে বিস্তারিত জানুন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি ওয়েবসাইড, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব পেজ, অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থাকতে হবে এবং এই পেজ বা ওয়েবসাইডে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর অবশ্যই থাকতে হবে। তাহলে মার্কেটিং করা বা পণ্য বিক্রয় করা ভালো হবে।
- অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রামে যোগ দেয়ার জন্য আপনার ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব পেজ থাকলে সহজেই পণ্য গুলো প্রচার করতে পারবেন এবং বিক্রিয় করতে পারবেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যোগ দেয়ার পরে আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে, কোম্পানীর কোন ধরনের পণ্য গুলো আপনার ওয়েবসাইড বা পেজে প্রচার করবেন।
- আপনার ওয়েবসাইড বা পেজে কোন ধরনের পণ্য প্রচার করবেন তার উপর ভিত্তি করে অ্যাফিলিয়েট লিংক দিবে। সেই লিংকটি প্রচার হয়ে গেলে ক্রেতারা সরাসরি লিংক থেকে কেনাকাটা করবেন।
- আপনি ব্লগ, ওয়েবসাইড, ইউটিউব পেজ, ফেসবুক পেজ এর পণ্যর অ্যাফিলিয়েট লিংক সেয়ার করে মার্কেটিং করতে পারবেন।
- আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইডের সেয়ার করা পণ্য বিক্রয় হলে আপনি কমিশন পাবেন আর বিক্রয় না হলে কমিশন পাবেন না।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন তারা উপরের ৬ টি বিষয় মাথায় রেখে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।
আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার চিন্তা করার আগে ভালো পরিচিত দক্ষ মানুষের কাছে থেকে ভালো করে জেনে বুঝে শুরু করবেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন। এখন জেনে নিই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা কি?
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা?
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ যারা যুক্ত হয় তারা মূলত উপার্জনের আশায় যুক্ত হয়। প্রতিটি ব্যাবসা বা কাজে কম বেশি সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। চলুন জেনে নেয় ফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো কি?
কম ঝুকিঃ
যে কোন ব্যাবসা করার আগে ব্যাবসা ক্ষাতে কম -বেশি পুজি বিনিয়োগ করতে হয়। তাতে ঝুকির ভয় থাকে। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ পণ্যের কোন অস্তিত্বই নেই এই জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কম ঝুকি থাকে।
বিনা পুজি বা স্বল্প পুজিঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উদ্দেশে ব্লগ বা ওয়েবসাইড খুলে কাজ শিখতে তেমন কোন খরচ হয় না। এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বাজার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বিনা পুজির ব্যাবসার জন্য। এই জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বিনা পুজি বা স্বল্প পুজি হলেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।
প্যাসিভ ইনকামঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সব সময় কাজ না করেও ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে পণ্যর ধরন এবং পণ্য সম্পর্কে সঠিক আইডিয়া রেখে তার উপর কনটেন্ট তৈরী করতে হবে বা ভিডিও বানানোর মাধ্যমে পন্যর প্রচার করতে হবে। তার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এছারাও আপনি অতিতে যে ভিডিও বা কনটেন্ট লিখেছেন তা থেকেও েইনকাম করতে পারবেন।
আরামদায়ক কাজঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ পণ্য বিক্রয় করার জন্য সব সময় কাজ করতে হয় না। আপনি যে কোন সময় ভিডিও অথবা কনটেন্ট তৈরী করবেন তা থেকে সব সময় ইনকাম করবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা অনেক এটি আপনাকে ঘরে বসে কোনরকম পরিশ্রম ছাড়াই ইনকাম করার সুযোগ দিবে এটি হলো একটি আরামদায়ক কাজ যা প্রত্যেকেই করতে চাই।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ঝুঁকির পরিমাণ কম এখানে আপনার টাকা লঞ্চ দেওয়ার পরিমাণ কম এখানে ইনকামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে নেই এর অসুবিধা গুলো।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা অসুবিধা উভয় বিদ্যমান একদিকে যেমন অসুবিধা রয়েছে আরেকদিকে এর অসুবিধা হয়েছে এটি অতিরিক্ত সময় সাপেক্ষে এবং প্রতিযোগিতা মূলক। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ প্রচুর প্রতিযোগিতা রয়েছে এখানে আপনাকে একেকজনের সাথে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকতে হবে।
প্রতিযোগীতাঃ
দিন দিন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রচার এবং প্রসার বেড়েই চলেছে। ওয়েবসাইড, ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মির কোন অভাব নেই। সকলেই প্রতিযোগীতা মূলক কাজ করে যাচ্ছে। মূলত কোম্পানীতে একই পণ্য অহরহ থাকার কারনে প্রতিযোগীতা মূলক কাজ হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
সময়সাপেক্ষঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে হলে ওয়েবসাইড বা ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর আনতে হবে এবং প্রথম অবস্থায় প্রচুর পরিশ্রম দিতে হবে পণ্য প্রচার করার জন্য। অল্পদিনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ভালো ফলাফল আশা করা ঠিক নয়। কারন এই কাজের প্রচার করার জন্য সময়সাপেক্ষর প্রয়োজন।
- তাছারাও সাফল্যর কোন নিশ্চয়তা নেই
- প্রচুর প্রচেষ্টার প্রয়োজন
- টাকা বা কমিশন নেওয়ার জন্য কোম্পানীর মালিকের উপর নির্ভর করতে হবে।
- ফলাফল ট্রাক করা কঠিক হয়ে যায়।
আশা করছি সকলেই বুঝতে পেরেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অসুবিধা গুলো কি কি এফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অনলাইন।
এই কাজের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয় রয়েছে তবে বাস্তবে ব্যবসার থেকে অনলাইনে ইনকামের সুবিধা একটু বেশি তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আপনি প্রচুর মুনাফা লাভ করতে পারবেন এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন কোন বিষয়ে আপনার জানা প্রয়োজন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি জানতে হবে এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা অর্জনি করতে পারবেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন কোন বিষয় গুলো জানা প্রয়োজন।
নিশ সিলেক্ট করাঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফলাতা অর্জন করার জন্য প্রথম কাজ হলো আপনাকে সঠিক নিশ সিলেক্ট করতে হবে। যে কোন মার্কেটিং এর কাজ করতে গেলে নিশ সিলেক্ট করা জরুরি।
কিওয়ার্ড রিচার্জ করাঃ
সঠিক কিওয়ার্ড রিচার্জ না করলে আপনার পণ্যর পোষ্ট সহজে র্যাংকে যাবে না। আর পণ্যর পোষ্ট র্যাংকে না গেলে ভিজিটর আসবে না। এই জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফলতা অর্জন করতে গেলে সঠিক কিওয়ার্ড রিচার্জ করতে হবে।
পণ্য বাছাই করাৎ
আপনার যে পণ্য নিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা আছে সেই পণ্য বাছাই করতে হবে। যে পণ্য নিয়ে আপনি ভালো লেখতে পারবেন এবং ভিডিও তৈরী করতে পারবেন সেই পণ্য বাছাই করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফলতা অর্জন করা আরেক টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো পণ্য বাছাই করা।
প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য প্লাটফর্ম তৈরী করতে হবে। যেমন, ব্লগ, ওয়েবসাইড, ইউটিউব ব্লগিং এবং ফেইসবুক পেজ ইত্যাদি যে কোন একটি প্লাটফর্ম তৈরী করতে হবে। যে কোন একটি প্লাটফর্ম তৈরী করে অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রমোট করতে হবে।
ইউজফুল কনটেন্ট তৈরী করাঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ইউজফুল কনটেন্ট তৈরী করতে হবে। প্রয়োজনীয় যে সকল কনটেন্ট আছে এবং চাকরি, শিক্ষামূলক কনটেন্ট গুলো মানুষ পছন্দ করে থাকে এগুলো কনটেন্ট পোষ্ট করতে হবে। এই কনটেন্ট গুলোর মাঝে মাঝে অ্যাফিলিয়েট পণ্যের লিংক গুলো প্রমোট করতে হবে। তাহলে পণ্য গুলো সহজেই বিক্রয় করা সম্ভব হবে।
অ্যাফিলিয়েট করার সাইট নির্বচন করাঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অ্যাফিলিয়েট করার সাইট নির্বচন করা খুবই গুরত্বপূর্ণ। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইড নির্বাচন করতে পারেন।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন। এই বিষয় গুলো নিয়ে আপনার যদি ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ শুরু করতে পারেন। আর যদি জানা না থাকে তাহলে কোন দক্ষ মানুষের কাছে থেকে জেনে তার পরে শুরু করবেন। এখন জানবো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ৩% থেকে ২০%পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের ক্ষেত্রে কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমিশন বা বেতন না পেলে তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ কেও করবে না।
কারন টাকার জন্যেই তো এতো পরিশ্রম করে মার্কেটটাররা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর। কি কি বিষয়ের উপর কমিশন নির্ভর করে চলুন জেনে নেয়।
বিক্রয়ের পরিমানঃ পণ্য বেশি বিক্রয় করতে পারলে বেশি কমিশন দেয় কোম্পানী।
পারফ্যামেন্সঃ ভালো পারফ্যামেন্স করলে ভালো কমিশন দেয় কোম্পানী।
অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রামঃ বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রাম বিভিন্ন কমিশন অফার করে থাকে।
সেবা ও পণ্যর মানঃ সেবা এবং পণ্যর মান ভালো হলে কমিশন ভালো দিয়ে থাকে কোম্পানী।
কিছু কোম্পানীর উদাহরণঃ
- Amazon: Amazon এই কোম্পানী থেকে আপনি যে পন্য বিক্রয়ের প্রচার করবেন সেখান থেকে বিক্রয়মূল্যর ১% থেকে ১০% কমিশন দিয়ে থাকে।
- Cj Affiliate: এখান থেকে যে পণ্যর প্রচার করবেন তার বিক্রয়ের মূল্য ৫% থেকে ২০% দিয়ে থাকে।
- click bank: এখান থেকে যে পণ্যর প্রচার করবেন তার বিক্রয় মূল্য কমিশন ৫০%-৬০% পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
তো বন্ধুরা আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে কোন কোম্পানী কত পারসেন্ট কমিশন দেয় তা আগে ভালো করে জেনে শুনে কাজ করতে হবে। না হলে পরিশ্রম বৃথা যাবে।
কারন অ্যাফিলিয়েট কাজে যতেষ্ট পরিশ্রম আছে। একটি সাইড প্রথমবারের মতো দ্বার করাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় একজন ব্লগারকে। ভালো থাকবেন সকলেই। এখন আমরা জানবো এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার?
এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন প্রকারের হয়। আপনার যদি ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব পেইজ থাকে, ব্লগ বা ওয়েবসাইড থাকে তাহলে তার মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে আপনাকে দারাজ, অ্যামাজান, স্যানাপডিল ইত্যাদি নেটওয়ার্কের লিংক নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে। চলুন জেনে নিই এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার এবং কি কি?
- ইউটিউব মার্কেটিং
- ফেইসবুক মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- সিপিএ মার্কেটিং
- ব্লগ কনটেন্ট মার্কেটিং
বাংলাদেশের সেরা ১০টি এফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্ম?
বাংলাদেশের সেরা ১০টি এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট- বাংলাদেশের ই-কমার্স প্লাটফর্ম গুলো মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশস্ত হলো দারাজ এবং ইভালি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এর দুটোর মধ্যে একটাতেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ নেই বর্তমানে।
এই দুটো প্লাটফর্ম ছারাও আরো অনেক গুলো প্লাটফর্ম আছে যেগুলোতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় এবং কমিশন ও পাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই বাংলাদেশের সেরা ১০টি এফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্ম।
- Amazon Associates
- ClickBan
- Commission Junction:
- Avangate Affiliate Network:
- ShareASale
- Rakuten Marketing:
- PartnerStack:
- FlexOffers:
- Impact Radius
- Skimlinks
এই প্লাটফর্ম গুলো দেখুন সহজেই যে কোন বাংলাদেশী বেকার যুবক এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হল amazon।
এই প্লাটফর্ম গুলোতে ইনকামের সুযোগ অনেক বেশি তাই আর দেরি না করে দ্রুত লগইন করুন amazon এবং এখন থেকে আপনার ইনকাম শুরু করুন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাংলাদেশ মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সেরা ৩ টি ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার সেরা ৩ টি ওয়েবসাইট?
বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার সেরা ৩ টি ওয়েবসাইড- ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় বিক্রয় করে যারা টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন এবং তার সাথে আরো বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই তিনটি ওয়েবসাইড।
এই ওয়েবসাইড গুলোতে সকল ধরনের পণ্য প্রডাক্ট এবং জামাকাপর প্রচার করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। জেনে নিই বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার সেরা ৩ টি ওয়েবসাইট?
- ডায়নাহোস্ট ডট কম
- পুতুলহোস্ট.কম
- sohojaffiliates.com
এই তিনটি ওয়েবসাইট বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে রয়েছে। এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন বিশেষ করে পুতুল হোস্টে ডট কম ডাইনো হোস্টে ডট কম মার্কেটিং করে প্রচুর ইনকাম করা যায়।
এগুলো একেকটা ক ওয়েব সার্ভিসিং ওয়েবসাইট অর্থাৎ এইখানে আপনি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত বিভিন্ন সার্ভিস লাভ করতে পারবেন হোস্টিং ক্রয় করতে পারবেন।
FAQ-প্রশ্ন ও উত্তর
এফিলিয়েট মার্কেটিং জব কি?
উত্তরঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো সেই পক্রিয়া যার মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করে বিক্রি হয়ে গেলে বিক্রিত টাকার ৫% কিংবা ১০% কমিশন দেওয়া হয়। তবে এটা বলা যায় এফিলিয়েট মার্কেটিং কিছুটা সেলস ম্যানের জবের মতো। বিক্রি হলে কমিশন পাবে,বিক্রি না হলে কমিশন পাবে না।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করা কি সহজ?
উত্তরঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয় না। বরং প্রচুর সময়ের প্রয়োজন হয়। সফলতার সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে প্রথমে তো আপনাকে অনেক পরিশ্রম দিতে হবে। পরে পরিশ্রমের ভার কিছু টা কমে যাবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি আয় করা যায়?
উত্তরঃ হ্যা অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে হাজার হাজার টাকা আয় করা যায়। আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে প্রস্তুত থাকেন তাহলে আপনি ও আয় করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মিলিয়ন ডলার ইনকাম করে থাকে।
এফিলিয়েট মার্কেটারদের মাসে কত টাকা আয় হয়?
উত্তরঃ নতুন এফিলিয়েট মার্কেটটাররা প্রতিমাসে ১,০০০ ডলার এবং মধ্যবর্তীরা প্রতিমাসে ১,০০০ ডলার এবং যারা অনেকদিন যাবৎ কাজ করছেন তারা মাসে প্রায় ১০,০০০+ ডলার ইনকাম করে থাকে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে কতদিন লাগে?
উত্তরঃ আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে কত দিন সময় লাগবে। তবে সফলতা অর্জন করতে হলে প্রায় ৬ মাস থেকে ১২ মাস সময় লাগতে পারে অথবা তার বেশি সময় ও লাগতে পারে। এর জন্য সময় ব্যায় করে পরিশ্রম করতে হবে তাহলে সফলতা একদিন আসবেই।
লেখকের শেষ কথাঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?
প্রিয় পাঠক আমরা এই আরর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জানলাম, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন,এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার, বাংলাদেশের সেরা ১০টি এফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্ম,
বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার সেরা ৩ টি ওয়েবসাইড ইত্যাদি সম্পর্কে। আরর্টিকেল টি ভালো লেগে থাকলে পরিচিতদের মধ্যে সেয়ার করবেন এবং আরো ভালো ভালো আরর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইডটি ভিজিট করুন। আরর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পোষ্ট ট্যাগঃ
এফিলিয়েট প্রোগ্রামের দাম কত?, এফিলিয়েট মার্কেটার কমিশন কত?এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল?, Affiliate Marketing এর কাজ কি?. এফিলিয়েট মার্কেটিং কি কি উপায়ে করা যায়?, এফিলিয়েট আইডি কি?, এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কত টাকা লাগে?, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি আয় করা যায়?, একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সুবিধা কি কি?, Affiliate marketing কি ভালো?
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url