শীতের সকাল অনুচ্ছেদ ক্লাস ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর

আপনি কি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ খুঁজছেন? তাহলে আপনার খোঁজাখুঁজি এখানেই শেষ হচ্ছে আজকের এই আর্টিকেল শীতের সকাল অনুচ্ছেদ ক্লাস ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর শেয়ার করব। অনুচ্ছেদ রচনা শীতের সকাল এবং শীতের সকাল রচনা দেখে নিন আজকের এই পোস্টে। 
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ
প্রতিটি ক্লাসের অনুচ্ছেদ রচনা আজকের এই আর্টিকেলে শেয়ার করব। শীতকাল সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ হলো আমাদের প্রত্যেকের প্রিয় ঋতু হল শীতকাল। চলুন দেরি না করে তাড়াতাড়ি দেখে আসি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ ক্লাস ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর।

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ ক্লাস ২য়

পরীক্ষাতে দুইটি অনুচ্ছেদ রচনা আসবে এবং দুইটি থেকে যেকোনো একটি অনুচ্ছেদ রচনা লিখলে ১০ মার্ক দেওয়া হবে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষাতে অনুচ্ছেদ রচনা আসে। রচনা এর তুলনায় অনুচ্ছেদ রচনা একটু ছোট হয়।। নিচে দেখে নিন শীতের সকাল অনুচ্ছেদ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে দেওয়া রয়েছে। 

৬ ঋতুর বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় একটি ঋতু হলো শীতকাল। হেমন্তকালের পর রয়েছে শীতের অবস্থান। আবার শীত কালের পর রয়েছে বসন্তকাল। আশেপাশে সাদা চাদরের মতো কুয়াশা এবং গাছের ঝরাপাতা নির্দেশ করে শীতকালের আগমন আসছে। আবার বসন্তের নতুন পাতা জাগিয়ে শীতকালের বিদায় ঘটে।

শীতকাল প্রকৃতিকে অন্যরকম এক সৌন্দর্যতা দান করে। চারিদিকে গাছের পাতায় শীতের নিহর, মুক্তার মত জ্বলজ্বল করে ভরে উঠলে কুয়াশা ভরা সাদা চাদর। শীতকালে স্কুলের ছুটি এই সময় স্নিগ্ধ একটি সগাদের স্পর্শ অনুভব করা যায়। শীতের কুয়াশা পরিবেশকে মনোরম করে তোলে। 

এবং কুয়াশা চাদর ভেদ করে সূর্যের আলো প্রবেশ করে এবং রূপালী ছড়িয়ে দেয় তখন গাছপালা, বাড়িঘর নদী নালা এবং প্রকৃতি যেন অপরূপ সুন্দর হয়ে ওঠে। শীতকালের স্নিগ্ধ সকালের স্পর্শ  প্রকৃতিকে এক অন্যরকম সৌন্দর্যতা দান করে। শীতকালে কুয়াশার কারণে পাখিরা তাদের আবাসস্থল ছেড়ে বাইরে বের হয় না, কোলাহলে মেতে ওঠে না। 

এই সময় চারিদিকে শুধু স্নিগ্ধতা আর সাদা চাদরের সৌন্দর্যতা। শীতকালে নানার বাসায় গ্রামাঞ্চলে পিঠাপুলির দাওয়াত গ্রামাঞ্চল শীতকালে পিঠের সুবাসে ময়ময় করে ওঠ। শীতকালে সকালে উঠে প্রতীকের সাথে চায় এবং মুড়ি খাওয়া আহা এই সময় যেন ভুলার মত নয়। 

গ্রামের কৃষকরা সকাল হতেই কুয়াশা পেরিয়ে গরু আর লাঙল দিয়ে মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সকালে খেজুরের লোভনীয় রসের মিষ্টি গন্ধে মেতে উঠে প্রত্যেকে। ছোট ছেলেমেয়েরা মিষ্টি রোদ উপভোগ করে এবং পিঠের সুঘ্রাণ অনুভব করে। শীতের সকাল প্রকৃতিকে অপরূপ সৌন্দর্যতা দান করে।

২য় শ্রেণী শিক্ষার্থীরা এভাবে ২০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ রচনা তৈরি করে পরীক্ষাতে লিখলে ফুল মার্ক অর্জন করতে পারবেন। দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য অনুচ্ছেদ রচনা বেশি বড় লিখার কোন প্রয়োজন নেই 200 শব্দের মধ্যে লিখলে ফুল মার্ক পাওয়া যাবে। চলো আমরা দেখে আসি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা in English 

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা in English 

তোমাকে ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষায় পারদর্শী হতে হবে বাংলাদেশে বাংলা ভাষা হল মাতৃভাষা কিন্তু ইংরেজি হল আমাদের ইন্টারন্যাশনাল ভাষা যে প্রতিটি দেশে ব্যবহার করা হয় আসো আমরা দেখে নেই শীতের সকাল এই অনুচ্ছেদ রচনাটি ইংরেজি ভাষাতে।। 

Winter is different from all other seasons. In Bangladesh, these two seasons are most visible. When we become unbearable due to the heat, winter comes with peace in our lives. Winter means joy. Winter means fun and winter means a beautiful scene of happiness.At this time, we wake up every morning and eat hot tea and muri. 

Sitting and talking with everyone, these times create very beautiful memories in our lives. Going to the village house on a winter day is the fun of the village.That delicious winter pie. Bangladesh is a country of seasonal diversity. There are six seasons here and among these six seasons, winter is our favorite. 

Winter mornings take on a completely different nature. Winter Winter mornings are covered in a blanket of white fog. The pleasant atmosphere of winter fascinates each of us.Winter is undoubtedly more beautiful than other seasons. 

Winter mornings have their own unique natural atmosphere as well as an impact on human life. Grass and leaves In winter, the dew drops on the leaves of trees and grass sparkle in the sunlight, looking incredibly beautiful like pearls.

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ তোমরা উপরের এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারবে। এই শীতকালের অনুচ্ছেদ রচনাটি ইংরেজিতে লিখতে পারবে। আশা করছি ওপরের এই রচনাটি তোমাদের ভালো লেগেছে আসো এবার আমরা দেখে নেই শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা ৩য় শ্রেনী।

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা ৩য় শ্রেনী

আপনি কি তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী? শীতের সকাল এই অনুচ্ছেদ রচনাটি তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এছাড়াও এখনতো শীতকাল শীতকালে পরীক্ষাতে শীতের সকাল এই অনুচ্ছেদটি আসতে পারে। অনেকের বই এই অনুচ্ছেদ রচনাটি অনেক বড় করে এবং বইয়ের ভাষায় দেওয়া রয়েছে যা মুখস্ত করতে কষ্ট হয়। নিজে দেখে নিন সহজ সরল ভাষায় ৪০০ শব্দের মধ্যে অনুচ্ছেদ রচনা শীতের সকাল  ৩য় শ্রেণীর দেওয়া রয়েছে। 

আমাদের দেশ হলো ছয় ঋতুর দেশ। বাংলাদেশের ছেলেদের মধ্যে শীতকাল হলো অন্যতম। বাংলাদেশে বেশিরভাগ সময় গরম থাকে এবং ২ মাস সময় শুধুমাত্র শীত থাকে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের কাছে শীতকাল অতীত প্রিয়। বাংলায় প্রকৃতিকে শীতকাল এক অন্যতম সৌন্দর্যতা দান করে পৌষ ও মাগ শীতকাল বিস্তার করে।

শীতকালে প্রকৃতির ওপর কুয়াশার সাদা চাদর বিস্তার করে যা প্রকৃতিকে অন্যতম সৌন্দর্যতা দান করে তারপর সকালে উঠে খেজুরের রসের ঘ্রাণে পাড়া গ্রাম ময়-ময় করে ওঠে। প্রচন্ড প্রতাপশালী সূর্যও কুয়াশার বাড়ি চাদরের নিচে চাপা পড়ে যায়। এই শীতকালের মাঝে মাঝে রোদের দেখা পাওয়া যায়। শীতকালে সাদা কুয়াশা চাদরের মাঝে হালকা সূর্যের আলো প্রকৃতিকে অপরূপ সৌন্দর্যতা দান করে। 

শীতের সকালে পিঠা সুঘ্রাণ বিস্তার করে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রত্যেকে শীতকালে পিঠাপুলির উৎসবে মেতে উঠেন। রাস্তাঘাটে বিভিন্ন জায়গায় পিঠা বিক্রি করা হয়। যারা শহর অঞ্চলে বসবাস করেন তারা শীতের সৌন্দর্যতা এবং শীতের পিঠাপুলির উৎসব উপভোগ করার জন্য গ্রামে চলে যান। 

এসবে শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষরা হারকণের শীতের ভয়ে বেলা করে ঘুম থেকে উঠতে ভালোবাসেন। সকালে উঠেই চা ও মুরি খাওয়া এই সময়গুলো সত্যি কখনো ভুলার মত নয়। পশু পাখিরা শীতকালে সূর্যের আলো দেখলে আনন্দিত হয় এবং কৃষকরা সাদা ঘন কুয়াশা চাদরের মাঝেই গরু এবং লাঙল নিয়ে এগিয়ে যান মাঠের দিকে। 

শীতকালে কুয়াশার ভেতরে দূরের জিনিসগুলো কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে কদাচিৎ দেখা যায়। শীতকালে অনেকেই ঘরে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা তৈরি করেন। শীতের সকালে পিঠা আরো অতুলনীয় সুস্বাদু হয়ে ওঠে। ছেলেমেয়েরা শীতকালে খড় আগুন জ্বালিয়ে শ্বেত নিবারণ করেন এবং নিজের শরীরকে গরম রাখেন। 

শীতকালে ছেলেমেয়েরা কুয়াশা ঢাকা চাদরের মাঝে হালকা রোদের আলো দেখা দিলেই বাইরে চলে যায় খেলাধুলা করতে। বৃদ্ধ লোকেরা রোদ পোহায়। বেলা বেশি হওয়ার সাথে সাথে সকলের দৃশ্য ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যায়। শীতের সকাল এক অস্বাভাবিক আকর্ষণ নিয়ে আসে মাঠে হলুদ সর্ষে ফুলের বাগান তৈরি হয়। 

শীতকালের সূর্যালোক যেন তার নিপুন হাতে প্রতিটি সরিষার গাছকে অপরূপ সৌন্দর্যতা দান করে। শীতকাল প্রকৃতিকে এক অপরূপ সৌন্দর্যতা দান করে এজন্য আমাদের প্রত্যেকের কাছে শীতকাল সবচেয়ে বেশি প্রিয় একটি ঋতু। যদিও বাংলাদেশে প্রতিটি দ্রুত ২ মাস করে বিরাজ করে কিন্তু বাংলাদেশে বেশিরভাগ সময় গরমকাল বিস্তার করে। এইজন্য প্রত্যেকের কাছে শীতকাল অতি প্রিয় ঋতু।

ওপরের এই অনুচ্ছেদ রচনা মুখস্থ করে খাতায় লিখলে সবচেয়ে বেশি মার্ক অর্জন করতে পারবেন। শীতকাল সম্পর্কে সুন্দর করে স্পষ্টভাবে নিজের ভাষায় অনুচ্ছেদ রচনা লিখলে শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি খুশি হবে। অনেকেই মনে করেন বইয়ের ভাষায় লিখলে শুধুমাত্র বেশি মার্ক পাওয়া যায় কিন্তু এ ধরনের সম্পূর্ণ ভুল। বইয়ের ভাষায় নয় আপনি যদি বিষয়টি বুঝে থাকেন তাহলে নিজের ভাষায় সুন্দরভাবে বিচার বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা করলে ভালো মার্ক লাভ করতে পারবেন। 

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ ক্লাস ৪র্থ

আপনি কি চতুর্থ ক্লাসের শিক্ষার্থী? শীতের সকাল রচনা অনুচ্ছেদ খুঁজছেন? শীতের সকাল এই অনুচ্ছেদটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাতে বারবার আসে। আজকের এই পোস্টের  দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ , পঞ্চম, অষ্টম, নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য অনুচ্ছেদ শেয়ার করব। পরীক্ষাতে অনুচ্ছেদ লিখলে ১০ মার্ক পাওয়া যায়। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া না করে নিচে দেখে নিন শীতের সকাল রচনা অনুচ্ছেদ ক্লাস ৪র্থ।

শীতকাল প্রকৃতিকে অপরূপ সৌন্দর্যতার দান করে। কুয়াশায় ঘনও আবরনে ঢাকা প্রকৃতি। চারিদিকে সাদা কুয়াশা চাদরের মত প্রকৃতির উপর বিস্তার করে সূর্যের আলো কুয়াশার মধ্যে দিয়ে হালকা প্রবেশ করলে সেখানে সূর্যের আলো ঝলমল করে। পাখিরা কুয়াশার মধ্যে আকাশে উড়ে বেড়ায় শরীর কাপে তবুও শীতের অনুভূতিকে উপভোগ করে।

শীতকালে সকাল সবচেয়ে সুন্দর থাকে এই সময় হালকা ঠান্ডা মৃদু বাতাস বয়ে যায় চারিদিকে ঘনক সাদা কুয়াশা সকাল বেশ মনোরম মনে হয়। শীতকালে সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং চারিপাশের সাদা কুয়াশা ঘন আবরণ। সাদা কুয়াশা চাদরে গাছপালা রাস্তা ঘাট বাড়িঘর সবকিছু ঢেকে যায়। মাঝে মাঝে হালকা সূর্যের আলো প্রকৃতিকে ঝলমলো করে তোলে। 

শীতের সকালে হালকা একটু রোদের দেখা মিললে বৃদ্ধরা রোদ পোহাই ছেলে মেয়েরা মিষ্টি রোদ উপভোগ করে। শীতের সকালে মৃদু ঠান্ডা হাওয়া প্রত্যেকে শীতের অনুভূতি জানাই তবুও শীতের সকালের প্রতি এক অদ্ভুত প্রত্যেকের আকর্ষণ রয়েছে। শীতের সকালে এত ঠান্ডার মধ্যে প্রত্যেকে ভরে ঘুম থেকে উঠতে ভালোবাসে এবং প্রত্যেকে নিজের কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়ে। 

শীতের সকালের পিঠার উৎসব হয়। পিঠার ঘ্রাণে সম্পন্ন গ্রাম মইময় করে ওঠে। সকালে পিঠা খেয়ে কৃষকরা মাঠে যায় ধান কাটতে, গরু ও লাঙ্গল নিয়ে মাঠের দিকে রওনা দেয়। গৃহিণীরা রান্নাঘরের বিভিন্ন কাজকর্মে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। শীতকালে গরম ভাতের সাথে যে কোন তরকারি খেতে খুব দুর্দান্ত লাগে শীতকালে বিভিন্ন শাকসবজি পাওয়া যায় যেমন টমেটো, সিম, ফুলকপি। 

অন্যান্য রিতুর তুলনায় শীতকাল একটু আলাদা হয় শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ ফুলকপি খেতে খুব ভালোবাসে ফুলকপি দিয়ে মাছ দিয়ে টমেটো রান্না করে। আহা এর স্বাদ যেন অমৃতর মত। শীতকালে বাজারে প্রচুর শাকসবজি পাওয়া যায়। শীতকালে কাঁচা বজার শাকসবজিতে ভরপুর থাকে। 

শীতকালে প্রত্যেকের শীতের পোশাক সোয়েটার পরে বাজারে ভিড় জমায়। শীতের সকালের সবচেয়ে দুর্দান্ত একটি আকর্ষণ হল পিঠাপুলির উৎসব। পিঠার প্রতি আমরা প্রত্যেকে আকৃষ্ট হই পিঠার ঘ্রাণ ও স্বাদ আমাদেরকে মুগ্ধ করে। শহরাঞ্চলের তোদের নয় গ্রামাঞ্চলে পিঠা পুলির উৎসব সবচেয়ে বেশি দেখা যায় রাস্তাঘাটে বিভিন্ন জায়গায় পিঠা তৈরি করে বিক্রি করা হয়।

পিঠা পায়েশ ভাপা পিঠা, দুধ পিঠা, পাকোয়ান পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা এবং রস চিতায়। আমরা প্রত্যেক এ পিঠা খেতে খুব ভালোবাসি পিঠার ঘ্রাণ ও স্বাদ আমাদের মন ও প্রাণকে জুড়িয়ে ফেলে এছাড়াও শীতকালে নারিকেল দিয়ে নাড়ু তৈরি করা হয় নারকেল দিয়ে নাড়ু তৈরি করার সময় এর ঘ্রাণ সম্পন্ন গ্রাম ছড়িয়ে যায়।

শীতকাল মূলত পিঠা উৎসবের কারণেই জনপ্রিয়। শীতকালে পিঠাপুলির উৎসব তৈরি করা হয় যেখানে প্রত্যেককে নিজেদের পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। প্রত্যেকে শীতকালে আনন্দে মেতে ওঠে পিঠাপুলির উৎসবের পাশাপাশি শীতকালে আরে বিভিন্ন উৎসব করা হয় কারণ এই সময়টি অতিরিক্ত গরম থাকে না এবং প্রত্যেকের মনে শান্তি বিস্তার করে।

শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ শহর অঞ্চল ছেলে গ্রামাঞ্চলে যে বসবাস করে কারণ শীতকালের সম্পূর্ণ আনন্দ শুধুমাত্র গ্রাম অঞ্চলে পাওয়া যায়। শহরাঞ্চলে প্রত্যেকে নিজেদের কাজের ব্যস্ততার মাঝে শীতকালের উপস্থিতি অনুভব করতে পারে না তাই শীতের আনন্দের মধ্যেও অংশগ্রহণ করতে পারেনা। 

এজন্য অনেকেই শীতকালে শহরাঞ্চল ছেলের গ্রামাঞ্চলে নানার বাসায় কিংবা মামার বাসায় বসবাস করেন। শীতকালে সকালে উঠে চায়ের সাথে মুড়ি নারকেলের নাড়ু এবং পিঠা খেয়ে মিষ্টি রোদ উপভোগ করা। আর এই শান্তি এই সময় যেন ব্যাখ্যা করার মতো না। চারিদিকে সাদা কুয়াশা প্রকৃতিকে ঘিরে নিয়েছে তার মধ্যে হালকা রোদের ঝলমলে আলো। 

বাচ্চারা রোদ দেখলেই রোদ পোহানো শুরু করে। অতিরিক্ত শীতকালে অনেকে ছোট ছোট কাঠের মাধ্যমে আগুন জ্বালিয়ে শরীরকে গরম করে। তবে শীতকাল প্রত্যেকের জন্য আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে না। শীতকালে গরীব দুঃখী অসহায় ব্যক্তিরা শীতকালে বাইরে যেয়ে কাজ করতে পারে না অতিরিক্ত ঠান্ডা প্রকৃতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন না। যার ফলে তাদেরকে অনাহারে দিন কাটাতে হয়। 

এছাড়াও গরিবদিকে মানুষদের কাছে শীতকালে ব্যবহার করার মত ভারী গরম কাপড় থাকে না এজন্য তারা শীতের মধ্যেই কষ্টে জীবন যাপন করেন। পশু পাখিরা শীতকালে রাস্তায় বসবাস করেন এবং এই শীতের ঠান্ডা বাতাস তাদের অসুস্থ করে ফেলে তাদের কাছে কোন ভারী কিংবা গরম কাপড় থাকে না যার মাধ্যমে তারা শরীরে গরম করবেন। তাই প্রত্যেকের জন্য শীতকাল আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে না। কিছু শ্রেণীর মানুষরা শীতকাল দেখে ভয় পায়। 

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আপনারা যদি এভাবে একটি অনুচ্ছেদ তৈরি করেন তাহলে ফুলমার্ক অর্জন করতে পারবেন শীতকাল কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জন্য আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে না কারণ শীতকাল মধ্যবিত্ত এবং গরিব দেখে মানুষের জন্য কষ্ট এবং দুঃখকে বয়ে নিয়ে আসে তারা শীতকালে সঠিকভাবে কর্মক্ষেত্রে নিয়ে যেতে হতে পারে না। অনেকের কাছে শীতকালে পড়ার মতো গরম কাপড় থাকে না। 

শীতকালে পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ থাকে না। সব মিলিয়ে শীতকালে একশ্রেণীর ব্যক্তিদেরকে অনাহারে জীবন যাপন করতে হয় এই জন্য প্রত্যেকের জীবনের শীতকাল আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে না কিছু শ্রেণীর মানুষের জন্য শীতকাল গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। আশা করছি ওপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে শীতকালের অনুচ্ছেদ রচনা তৈরি করতে হয়।

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ শ্রেনী ৫ম 

আপনি কি পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষার্থী? পঞ্চম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি পড়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করা খুবই জরুরী। প্রতিবছর পঞ্চম শ্রেণীতে একটি জটিল প্রশ্ন করা হয়। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বাংলা দ্বিতীয় পত্র তে এই শীতের সকাল অনুচ্ছেদ আসে এবং এখানে দুইটি অপশন দেওয়া থাকে যেকোনো একটি অনুচ্ছেদ লিখতে পারবেন। একটি অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণ সুন্দরভাবে কমপ্লিট করলে ১০ মার্ক অর্জন করতে পারবেন। নিচে দেখে নিন শীত কালের সকাল অনুচ্ছেদ পঞ্চম শ্রেণীর জন্য দেওয়া রয়েছে।

শীত কাল প্রকৃতিকে এক অন্যরকম সৌন্দর্যতা দান করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে প্রতীকের সবচেয়ে প্রিয় ঋতু হলো শীতকাল কারণ শীতকাল বাংলাদেশের শুধুমাত্র দুই মাস বিস্তার করে এবং বাংলাদেশ দশ মাস গরমকাল থাকে। অন্যান্য প্রতিটি ঋতুতে বেশিরভাগ সময় গরমকাল বিস্তার করে এ জন্য বাংলাদেশের ১০ মাস গরমকাল বলা হয়।

শীতকালের সকালে অনেকে রোদ না ওঠা পর্যন্ত বাসায় আগুন পোহায়। সে তার প্রকৃতিকে অন্যরকম সৌন্দর্যতা দেয় যেমন শীতের সকালে চারিদিকে প্রকৃতি ঘন সাদা কুয়াশার চাদরে আবৃত থাকে সেখানে হালকা রোদের আলো হীরের মতো ঝলমল করে। শীতকালে বাগানে বিভিন্ন ফুলের সমাহার তৈরি হয় যেমন ডালিয়া কলাবতী গাঁদা ফুল চন্দ্রমল্লিকা। 

শীতকালে ফুলের সুবাসে সম্পূর্ণ গ্রাম মেতে উঠে পাশাপাশি শীতকালে পিঠা উৎসব হয়। শীতকাল মূলত পিঠা উৎসবের জন্যই এত বেশি জনপ্রিয় শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ বাসায় পিতা তৈরি করেন এবং এই পিতার ঘ্রাণের সম্পূর্ণ গ্রাম ভরপুর হয়ে ওঠে। শীতের সকালে প্রত্যেকে বাসায় বিভিন্ন প্রকার পিঠা তৈরি করে যেমন ভাপা পিঠা, দুধ পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, নকশী পিঠা। 

এই পিঠার ঘ্রাণে আমরা প্রত্যেকে মেতে উঠি। শীতকালীন মূলত সঙ্গী হল কুয়াশা। শীতকালে রাত ফুরিয়ে গেলেই কুয়াশা দিয়ে প্রকৃতির সূচনা শুরু হয় এবং কুয়াশার ভারী চাদর প্রকৃতিকে আবৃত করে রাখে। এই সময় সকালে এক কাপ চা এবং পিঠা মনকে প্রশান্তি দেয়। শীতের সকালের এই সৌন্দর্যতা শুধুমাত্র গ্রামে উপস্থিত থাকে। 

গাছের পাতায় কিংবা ঘাসের ডগায় হিরে মুক্তির মতো ঝলমলে শিশির বিন্দু। আকাশ ঢাকা কুয়া সাদা ভারী পর্দা ভেঙে যখন সূর্য তার এক ফোঁটা আলো প্রকৃতিতে দায়ী তখন এটি হীরের মতো ঝলমল করে। হালকা একটু রোদের দেখা মিললে ছেলেমেয়ে এবং বৃদ্ধরা রোদ পোহাতে শুরু করে এই মিষ্টির ওর দেহ মনে এনে দেয় অসীম প্রশান্তি।

 শীতের সকালে বাগানে ফোটা প্রস্ফুটিত ফুলগুলো মন কেড়ে নেয়। এই সময় নিরব নিঠুর প্রকৃতির সাথে সাগরও প্রকৃতিকে সুন্দর করার কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে এবং প্রকৃতিকে এক অপরূপ সৌন্দর্যতা দান করে। শীতের সকাল আমাদের প্রত্যেকের কাছে সবচেয়ে প্রিয় একটি সময়। 

শীতের সকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকলে উপর থেকেই শীতকালে ভরে ঘুম থেকে উঠতে ভালোবাসে এবং শীতের ঠান্ডা কুয়াশা ভরা সকাল উপভোগ করতে পছন্দ করে। এই সময় সিড নিবারণের জন্য গ্রামীণ মানুষরা একত্রে জড়ো হয় এবং একটি জায়গাতে শীত নিবারনের জন্য আগুন জ্বালাই। 

প্রত্যেকে একসাথে বসে আগুন এর গরম তাপ উপভোগ করে এবং গল্পতে মেতে ওঠে। এই সময় গুলো সত্যি কখনো ভোলার মতো নয় গ্রামের মতো শহরে এত আনন্দ উৎসব হয় না এই জন্য বেশিরভাগ মানুষই শহরাঞ্চল ছেড়ে শীতকালে গ্রাম অঞ্চলে এসে বসবাস করতে ভালোবাসে। শীতকালে গ্রামের মোহময় রূপ শহরে দৃষ্টিগ্রাহ হয় না। 

কারণ শহর অঞ্চলের দুর্বাস নেই শহরাঞ্চলে প্রত্যেকে নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কখন সে কল আসছে এবং কখন চলে যাচ্ছে সে বিষয়ে কারোর কোন খেয়াল থাকে না। এইজন্য তারা শিবের আনন্দতে অংশগ্রহণ করতে পারে না। শহরের মানুষের আয়েশে জীবন যাপনে সকালের কুয়াশা ভরা শীত চলে যায়।

তাদের ঘুমের মাঝে এবং তারা কুয়াশা ভরা শীতকালে প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে পারেনা। শীতের সকালে কৃষকরা পিঠা এবং চা খেয়ে তারা মাঠে চলে যায় কাজের উদ্দেশ্যে। ধান ভেঙ্গে নিয়ে আসে। শীতকালে বেশিরভাগ কৃষকরা বাসায় ফসল তুলে ঘরে আনে এবং পিঠার উৎসবে মেতে উঠে শীতকালের সকালের পিঠার সুগন্ধি সম্পন্ন গ্রাম মৌ মৌ করে ওঠে এবং মন আনন্দে যেন ভেসে ওঠে এই সময় পিঠে খাবার আনন্দ আরেকদিকে শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যতা সবকিছু মিলিয়ে জীবন অমৃত হয়ে ওঠে। শীতের এই সৌন্দর্যতা শুধুমাত্র গ্রামেই উপভোগ করা সম্ভব। 

প্রিয় শিক্ষার্থীগণ আপনারা যদি শীতের সকাল সম্পর্কে 500 শব্দের মধ্যে এটি অনুচ্ছেদ রচনা তৈরি করতে চান তাহলে ওপরের এই নিয়ম অনুসারে একটি অনুচ্ছেদ রচনা তৈরি করতে পারবেন শীতের সকাল সম্পর্কে অনুচ্ছেদ রচনা সম্পন্ন নিজের ভাষায় এবং নিজে মনের মত করে লিখতে হবে।

তাহলে সবচেয়ে বেশি মার্ক অর্জন করা যাবে। শীতের সকাল সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকে জানি কিন্তু নিজেদের অনুভূতিগুলোকে লেখায় প্রকাশ করতে পারি না। তাই উপরে শীত কালের অনুচ্ছেদ দেওয়া রয়েছে সেখান থেকে আইডিয়া নিয়ে আপনারা লিখতে পারবেন। 

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ ৮ম শ্রেনী

অষ্টম শ্রেণীতে অনুচ্ছেদ রচনা কমপ্লিট করা খুবই জরুরী অনেকেই বাংলা দ্বিতীয় পত্র দিয়ে অনুচ্ছেদ রচনা বাদ দিয়ে লিখেন। কারণ রচনা লিখতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় প্রয়োজন হয় এবং একটি রচনা লিখে ২০ ম্যাপ পাওয়া যায় তাই অনেকের রচনার জন্য অনুচ্ছেদ রচনা বাদ দিয়ে দেন তবে অনুচ্ছেদ রচনা মাত্র ৫০০ শব্দের মধ্যে লিখলেও দশ মার্ক পাওয়া যায় তাই কখনোই অনুচ্ছেদ রচনা বাদ দেওয়া যাবে না নিচে দেখে নিন ৮ম শ্রেণীর অনুচ্ছেদ রচনা শীতের সকাল দেওয়া রয়েছে।

বাংলাদেশ হলো ছয় ঋতুর দেশ। পালাক্রোমে বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু বিস্তার করে এবং বাংলাদেশকে নব নব রূপে সাজিয়ে দেয়। বসন্ত ঋতুর আগেই শীতকালের আগমন ঘটে এবং প্রকৃতিক কুয়াশা চাদরে যেন ঢেকে যায় সাদা কুয়াশা প্রকৃতিকে আবৃত করে রাখে। শীতকালে ঠান্ডা শীতল বাতাস প্রকৃতির উপর দিয়ে বয়ে যায়। 

শীতের সকাল সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে। শীতকালে সকালে চারিদিকে ঠান্ডা সাদা কুয়াশা প্রকৃতির সাথে লেগে থাকে এবং প্রকৃতিকে মনোমুগ্ধকর ও ঠান্ডা করে রাখে। এই সময় এত ঠান্ডা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেকেই শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য শীতকালে ভরে উঠতে ভালোবাসেন। কুয়াশা চলো সকাল মানুষের মনে অলসতা বিস্তার করে এইজন্য প্রতিটি হালকা চা মুড়ি খেয়ে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। 

বাংলাদেশের ৬ রোদের মধ্যে পঞ্চম ঋতু হলো শীতকাল। পোষ ও মার্ক এই দুই মাস মিলে বাংলাদেশে শীতকাল বিস্তার করে। ইংরেজি বর্ষে বললে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের শীতকাল বিস্তার করে গ্রীষ্মকালের বিপরীত হলো শীতকাল। গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে গরম শুষ্ক বাতাস বয়ে যায় এবং শীতকালে বাংলাদেশের ঠান্ডা শীত আবহাওয়া বিস্তার করে। 

বাংলাদেশে বেশিরভাগ সময় গরম থাকে এবং সামান্য কয়েক মাস শীতকাল বিরাজ করে এই জন্য আমাদের প্রত্যেকের নিকট শীতকাল অতিপ্রিয় একটি মাস এছাড়াও শীতকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো পিঠাপুলির উৎসব শীতকাল মূলত পিঠাপুলির উৎসবের কারণেই এত বেশি জনপ্রিয়। 

শীতকাল কুয়াশার চাদরে মোরা ঠান্ডা শীতল প্রকৃতি নিয়ে দেখা যায় এবং এর মাঝে এক ফালি রোদ দেখা দিলে সেটি হীরে মুক্তার মত ঝলমল করে এই এক ফোটা দুধ দেখলেই ছেলেমেয়েরা এবং বৃদ্ধ বয়স্করা রোদ পোহানো শুরু করে। গ্রাহক অথবা শহর প্রত্যেক জায়গাতেই শীতের তান্ডব রয়েছে। তবে শহর অন্তরে তুলনায় গ্রাম অঞ্চলের শীতের আনন্দ এবং উৎসব সবচেয়ে বেশি উপভোগ করা যায়।

যেমন শীতকালে গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় পিঠাপুলির উৎসব হয় প্রত্যেকের বাসায় পিঠা তৈরি করা হয়। পিঠার ঘ্রানে সম্পূর্ণ গ্রাম মৌ মৌ করে ওঠে। কিন্তু শহরাঞ্চলে এমন কোন উৎসব লক্ষণীয় নয় কারণ শহর অঞ্চলে প্রত্যেকে নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শীতকালে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা যেন স্বর্গীয় অনুভূতি মনে হয়।

এই শীতকালে কুয়াশার মধ্যে সূর্য দেবতার দেখা পাওয়া খুব রেয়ার। শীতের সকালে প্রকৃতি এক ভিন্নরূপ ধারণ করে। গাছের পাতায় ঘাসের ডগায় হিরে মুক্তির মতো ছোট ছোট শিশির জল জল করে মানুষ জীবন্ত পশু পাখি প্রত্যেকে প্রত্যাশায় প্রহর গুনতে থাকে কিন্তু সূর্য উঠলেও ঘন সাদা কুয়াশার মাঝে শীতের উপস্থিত টের পাওয়া যায় না। 

শীতে সকল প্রকৃত আনন্দ শুধুমাত্র গ্রামীণ জীবনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব গ্রামগুলোতে শীতের সকালে মনোরম পরিবেশ বিস্তার করে। শীতকালে প্রত্যেকের কুয়াশা ভেদ করে নিজ গৃহপালিত পশু পাখি যেমন গরুদের নিয়ে মাঠের দিকে রওনা হয় এবং সূর্যের দেখা না পেলে প্রত্যেকে গ্রামাঞ্চলে আগুন জ্বালিয়ে শীতকালের মধ্যে উষ্ণতা খুঁজে বের করে। 

হালকা একটু রোড দেখতে পাওয়া গেলে প্রত্যেকেই নিচে পাটি পেরে রোদ পোহানো শুরু করে। শীতকালে সবচেয়ে আনন্দপূর্ণ একটি সময় হল শীতের সকাল এইসময় প্রত্যেকের বাইরের রোদে বসে এক কাপ চা এবং মুড়ি খেয়ে নিজের দিনকে শুরু করেন। শীতের সকালের মধ্যে হালকা একটু রোদ শরীরকে প্রশান্তি দেয় এর সাথেই গরম চা ও মুড়ি খাওয়া এবং প্রত্যেকে গল্পের সাগরে ভেসে যাওয়া।

এই সময় গুলো সত্যি কখনো ভুলে যাওয়ার মতো নয় এই আনন্দের মুহূর্তের মাঝে রয়েছে নানী দাদীদের তৈরি করা পিঠা। প্রত্যেকে গাছে গাছে খেজুরের রস নামিয়ে পিঠা তৈরি করা শুরু করে। খেজুর গাছের সাথে হাড়ি ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায় এবং এই হাঁড়ির মধ্যে খেজুর গাছ থেকে রস পাওয়া যায়। সেই রস দিয়ে বিভিন্ন কম্পিউটার তৈরি করা হয়। 

প্রত্যেক সকালে বাসায় পিঠা তৈরি করতে শুরু করেন। গ্রাম অঞ্চলে প্রত্যেকে শীতকালে পিঠা তৈরি করেন এবং এই পিঠার ঘ্রাণে সম্পূর্ণ গ্রাম এবং অঞ্চল খুশিতে ভরে ওঠে। গ্রাম অঞ্চলের তুলনায় শীতকালের শহরাঞ্চলের দৃশ্য অনেকটা আলাদা থাকে। শহর অঞ্চলের শীতকাল উপস্থিত থাকলেও এর কেউ পায় না কারণ সব সময় শহর অঞ্চলে রাস্তায় লাইট চালানো থাকে যার ফলে লাইটের আলোয় কুয়াশার উপস্থিতি বোঝা যায় না। 

এবং শহর অঞ্চলে প্রত্যেকে বেলা করে ঘুম থেকে উঠতে পছন্দ করে এই জন্য কখন কুয়াশা উঠছে এবং কখন শীতকাল ঠান্ডা বিস্তার করছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে শহর অঞ্চলের মানুষরা টের পায় না। তাই বলা যায় শীতের সকাল অন্য সমস্ত ঋতু তুলনায় অনেকটা আলাদা এবং এই শীত কাল প্রকৃতিকে আলাদা একটি সৌন্দর্যতা দান করে। 

৬০০ শব্দের মধ্যে এভাবে একটি অনুচ্ছেদ রচনা তৈরি করলে শিক্ষকরা কখনো মার্ক কাটতে পারবেনা যদি সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা লিখা হয় তাহলে শিক্ষকরা ফুল মার্কেটে বাধ্য আশা করছি ওপরের এই অনুচ্ছেদ রচনাটি আপনাদের পছন্দ হয়েছে। উপরের এই রচনাতে 600 শব্দের মধ্যে শীতকালে সকাল নিয়ে আলোচনা করা হলো।

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ ৯ম ও ১০ম শ্রেনী

আপনি কি অনুচ্ছেদ রচনা খুঁজছেন নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য? নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এই অনুচ্ছেদ রচনাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এখন তো বাংলাদেশের উপর শীতকাল বিস্তার করছে। তাই শীতকালে এই শীতের সকাল সম্পর্কে অনুচ্ছেদটি পরীক্ষাতে আসতে পারে এছাড়াও এই অনুচ্ছেদ রচনাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বারবার বোর্ড পরীক্ষাতে আসে। তাই নিচে দেখে নিন অনুচ্ছেদ রচনা শীতের সকাল ৯ম ও ১০ম শ্রেনী।

বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ এবং বাংলাদেশের ছয় ঋতু বিস্তার করে বাংলাদেশের ৫ নম্বর ঋতু হলো শীতকাল। বাংলা মাস হিসেবে পৌষ এবং মাঘ মাসে শীতকাল বিস্তার করে আর ইংরেজি মাস হিসেবে বাংলাদেশের উপর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতকাল থাকে। শীতকাল বাংলাদেশকে এক অন্যতম রূপ প্রদান করে গ্রীষ্মকালের বিপরীত হলে শীতকাল। 

শীতকালে প্রকৃতি অপরূপ সৌন্দর্যতায় ভরে ওঠে চারিদিকে সাদা কুয়াশা চাদরে প্রকৃতি ঢেকে যায় এর মাঝে হালকার রোদের দেখা মিললে রোদ যেন প্রকৃতির মাঝে হীরে এবং মুক্তার মত ঝলমল করতে শুরু করে। অনেক সময় শীতকালে বৃষ্টি হয়। শীতকালে বৃষ্টি প্রকৃতিকে আরো ঠান্ডা ও মনোরম করে তোলে।

প্রত্যেকে শীতকালে বাসায় থাকতে পছন্দ করে বাসায় কম্বল এবং ল্যাপের মধ্যে শুয়ে থাকতে ভালোবাসে ম শীতকাল এর ঠান্ডা ভাব আমাদের প্রত্যেককে অলস করে তোলে। শীতকালে বেশিরভাগ মানুষ ঠান্ডার কারণে কাজকামে নিয়োজিত হতে পারেনা শীতকালের প্রচন্ড শীতে মানুষের বিভিন্ন রোগবালাই তৈরি হয় যেমন শ্বাসকষ্ট হাঁপানি সর্দি কাশি জ্বর নিউমোনিয়া। 

তবে এই সকল জিনিস কে এক সাইডে রাখলে শীতের সৌন্দর্য্যতা উপভোগ করা যায় যেমন শীতের সকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকলেও প্রত্যেকে শীতকালে ভরে উঠতে ভালোবাসে কারণ ভোরের শীতকালের সমস্ত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় শীতকালের ঠান্ডা শীতল বাতাস প্রকৃতির উপর দিয়ে বয়ে যায় পাশাপাশি শীতকালে সকালে সাদা কুয়াশা চাদরে প্রকৃতি ঢেকে থাকে।

এবং সকালে উঠে এক কাপ গরম চা ও মুড়ি মনকে প্রশান্তি দেয় এক কাপ গরম চা খাওয়ার সাথে সাথে প্রত্যেকের সাথে গল্পের আড্ডায় প্রত্যেকে মেতে ওঠে এইসব নিয়েই গ্রামীণ জীবন শীতকালে সুখের স্বর্গে ভেসে যায়। সকালে যখন কুয়াশা ভেদ করে হালকা একটু সূর্যের রশ্মি মানুষের শরীরকে স্পর্শ করে তখন শান্তি অনুভব করা যায়। 

গ্রাম অঞ্চলের তুলনায় শহরের শীতকালের ইমেজ অনেকটা আলাদা গ্রামে শীতকালে  প্রত্যেকে শীতকালের সৌন্দর্যতা উপভোগ করার জন্য ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন কিন্তু শহরাঞ্চলে মানুষ আরো বেশি অলস হয়ে ওঠেন এবং তারা ভরে ঘুম থেকে উঠেন না এইজন্য তারা প্রকৃতির সৌন্দর্য তাকে উপভোগ করতে পারেন না। 

শীতকালে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়া মানুষরাও ভাবতে থাকেন আর একটু ঘুমিয়ে নেই একটু পরে ঘুম থেকে উঠবো। সত্যি শীতকালের আবহাওয়া আমাদের প্রত্যেককে অলস করে তোলে। অনেক সময় দেখা যায় সারাদিন শীতকালে প্রকৃতিতে কুয়াশা বিস্তার করে, সূর্যের কোথাও কোন দেখা পাওয়া যায় না। শীতকালে গ্রামে নানান আনন্দ উৎসব হয় শীতকালে পিঠাপুলির উৎসব শুরু হয়। 

প্রত্যেকে বিভিন্ন প্রকার পিঠা তৈরি করে পিঠাপুলির উৎসবে বিক্রি করে। যার তৈরি করা পিঠা সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু হবে সে পিঠাপুলির উৎসবে বিজয়ী হবে এবং উপহার জিততে পারবে। পিঠাপুলির উৎস বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ অংশগ্রহণ করে অনেকেই শহরাঞ্চল থেকে গ্রামাঞ্চলে এসে বসবাস করেন বিভিন্ন প্রকার মুখরোচক পিঠা এর স্বাদ উপভোগ করার জন্য। 

শীতকালে খেজুর গাছে একটি হাঁড়ি লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং হাঁড়িতে খেজুর গাছের রস এসে যাওয়া হয় সেই রসের মাধ্যমে শীতকালে পিঠা তৈরি করা হয় এই পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু শীতকালের পিঠা আমাদের প্রত্যেকের মন ও প্রাণকে মুগ্ধ করে। তবে এই আনন্দ হল শুধুমাত্র গ্রামাঞ্চলেই রয়েছে কারণ শহরাঞ্চলে খুব কম সংখ্যক মানুষ বাসায় পিঠা তৈরি করতে পছন্দ করেন। 

শহরাঞ্চলের মানুষ পিঠা খেতে পছন্দ করলেও তারা বানানোতে আগ্রহী হন না। এজন্য বেশিরভাগ মানুষ শীতকালে শহরাঞ্চল থেকে গ্রামাঞ্চলে চলে যান এবং নানা অথবা দাদার বাসায় পিঠার আনন্দে মেতে উঠেন। শীতকালে পিঠায় খেজুরের গুড় এবং খেজুরের রস ব্যবহার করলে পিঠার স্বাদ আরো দুই গুণ বেশি বেড়ে যায়। 

এছাড়াও গ্রামাঞ্চলের খাঁটি দুধ মিঠা ব্যবহার করলে পিঠার স্বাদ আরো অনেক গুণ বেড়ে যায় এই জন্য প্রত্যেকে বলে গ্রামাঞ্চলের পিঠা সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু হয়। শীতকালে খেজুর গাছ থেকে হারি নামিয়ে রস পান করা। খেজুরের রস দিয়ে মুড়ি অনেকেরই প্রিয় খাবার এই সবকিছু মিলিয়ে শীতকাল মানবজীবনকে আরো দশ গুণ বেশি আনন্দময় ও সুখী করে তোলে। 

তবে অতিরিক্ত শীতের কারণে কিছু কিছু মানুষ কর্মজীবনে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ শীতকালের আবহাওয়া মানুষকে অলস করে তোলে এবং এই কারণে অনেকেই বাইরে যেয়ে কাজ করতে পারে না। শীতকালের ঠান্ডা হাওয়া এবং চারিদিকে কুয়াশা এর কারণে বেশিরভাগ মানুষ অফিস আদালতে যেতে পারে না। 

অতিরিক্ত কুয়াশার মাঝে গাড়ি চলাচল করলে অ্যাক্সিডেন্টে সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে শীতকাল একদিকে প্রকৃতিকে সুন্দর ও মানব জীবনকে আনন্দময় করে তুলে আরেকদিকে এটি কর্মজীবনে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ যারা নবম ও দশম শ্রেণী শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা এভাবে একটি অনুচ্ছেদ রচনা তৈরি করলে সবচেয়ে বেশি মার্ক অর্জন করতে পারবেন অনুচ্ছেদ রচনা নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করতে হবে অনেকেই মনে করেন অনুচ্ছেদ রচনা বইয়ের ভাষায় লিখে সবচেয়ে বেশি মাছ পাওয়া যায় কিন্তু ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল অনুচ্ছেদ রচনা যদি নিজের ভাষায় সুন্দর করে মূল কাহিনী তুলে ধরা হয় তাহলে শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি মার্ক প্রদান করেন।

লেখক এর শেষ কথা 

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল শীতের সকাল সম্পর্কে আলোচনা করার শীতের সকাল রচনা শেয়ার করা ওপরে শীতের সকাল  অনুচ্ছেদ রচনা ২০০ শব্দ থেকে শুরু করে ৬০০ শব্দ এর মধ্যে আলোচনা করলাম। যদিও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার মাঝে এত সময় পায় না। যে পরীক্ষাতে 600 শব্দ এর অনুচ্ছেদ রচনা লিখবে।

তবুও সম্পূর্ণ রচনা কয়েকবার মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন তারপর যতোটুকু মনে থাকবে পরীক্ষাতে লেখার চেষ্টা করবেন পরীক্ষা দিয়ে এই রচনাটি বারবার আসে। পরীক্ষাতে দুইটি অনুচ্ছেদ রচনা দেওয়া হয় দুইটি অনুচ্ছেদ রচনা এর মধ্যে যেকোনো একটি অনুচ্ছেদ রচনা লিখলে দশ মার্ক পাওয়া যায়। অন্যান্য বিষয়ে বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়ে সবচেয়ে সহজে বেশি মার্ক পাওয়া যায়। 

বাংলা দ্বিতীয় পত্রের সারমর্ম এবং সারাংশ লিখে ১০ মার্ক পাওয়া যায়। একটি সারমর্ম অথবা সারাংশ লিখেছে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট সময় প্রয়োজন। এই ৫ মিনিটে ১০ মার্ক পেয়ে যাচ্ছেন পাশাপাশি বাংলা দ্বিতীয় পত্র ভাব সম্প্রসারণ ও আবেদনপত্র আসে। একটি আবেদন পত্র লিখতে সর্বোচ্চ ছয় থেকে সাত মিনিট প্রয়োজন।

এই ৭ মিনিটের মধ্যে আর দশ মার্ক পেয়ে যাচ্ছেন পাশাপাশি একটি ভাব সম্প্রসারণ দিতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট প্রয়োজন অর্থাৎ এক কথায় বাংলা দ্বিতীয় পত্র তে সবচেয়ে সহজে ফুলমার্ক অর্জন করা যায় এর জন্য বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রতে ১০০ মার্ক এর মধ্যে ৯০-৯৮ অর্জন করতে পারেন। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা সকলে শীতকালের সকাল সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url