পায়ের কুনি পাকা সমস্যার ৫ মিনিটেই সমাধান জানুন
ভিগোজেল এর কাজ কি, উপকারিতা, অপকারিতা সম্পর্কে A - Z
আপনি কি পায়ের কুনি পাকার সমস্যার সমাধান খুজছেন, তাহলে মনে হয় সঠিক জায়গাতে চলে এসেছেন। আজ আমরা পায়ের কুনি পাকার সমস্যার সমাধান নিয়ে আমাদের এই পোষ্টে এমন কিছু টিপস দেব যা আপনারা ফলো করলে দ্রুত পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান করতে পারবেন ইনশাল্লাহ। তো বন্ধুরা আপনি যদি পায়েল কুনি পাকার সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে আমাদের পোষ্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান । গরমকালে পায়ের কুনি বেশি পেকে যায় আবার বর্ষকালেও এই সমস্যা দেখা দেয়। পায়ের কুনি পাকলে অনেক যন্ত্রনা হয়। অসহ্য ব্যাথা হয়। এই ব্যাথা কমানোর জন্য আমরা অনেক ওয়েবসাইডে খুজাখুজি করি যে কিভাবে পায়ের কুনি পাকা কমানো যায় বা পাকা কুনির ব্যাথা কিভাবে কমানো যায়। তা জানতে হলে পড়তে হবে আমাদের এই পুরো পোষ্ট টি। আমাদের এই পোষ্টে পায়ের কুনি পাকার সমস্যার সমাধান বিস্তারিত দেওয়া আছে। পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান
ভূমিকা
আমরা অতিরোক্ত কাজের জন্য অনেক সময় শরীরের যত্ন সঠিক ভাবে নিতে পারি না। বর্ষাকালে পায়ের কুনিতে পানি জমে থাকলে বা কাদা ময়লা জমে থাকলে পায়ের কুনি অস্বাভিক পেকে যায়। পায়ের কুনি পাকাটা বিশেষ কোন অসুখ না তবে অসহ্য ব্যাথা হয়।
আরো পড়ুন: দেখে নিন আপনার পাইলস রয়েছে কি?
পায়ের কুনি পেকে গেলে কুনি অস্বাভিক ফুলে যায় এবং হলুদ বর্ণ হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধান পেতে হলে আমাদের কে সঠিক বিষয় টা জানতে হবে। জানার জন্য আমাদের পোষ্ট টা ভালো করে পড়ুন।
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান। পায়ের কুনি পাকা সমস্য আমাদের অনেকেরই হয়ে থাকে। পায়ের কুনি সাধারনত বর্ষকালে বেশি পাকে এবং গ্রীষ্মকালে ও পাকে। যার ফলে অসহ্য ব্যাথা হয়। এই ব্যাথা থেকে অনেকেই দ্রুত মুক্তি পেতে চায়। হাটার সময় বা কোন কাজ করতে গেলে খুব ব্যাথা লাগে।
অতিরোক্ত পেকে গেলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের এই ধরনের সমস্যা হয় তাদের কে দ্রুত সমাধান নেওয়া উচিত। তো বন্ধুরা আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান কি?
খোলা মেলা জুতা পড়তে হবে
খালি পায়ে হাটলে পায়ে অনেক ময়লা বা কাদা ভরতেই পারে। এই ময়লা পায়ের কুনিতে বসে গেলে আস্তে আস্তে পায়ের কুনি পাকতে শুরু করে। অনেক সময় আমরা বর্ষকালেও জুতা পরি না। জুতা না পড়ার জন্য পায়ে পানি অথবা কাদা সবসময় আটকে থাকে।
যার ফলে পায়ের কুনি আস্তে আস্তে পাকতে থাকে। কাদা বা পানি যেন পায়ে আটকে না থাকে তার জন্য আমাদের কে সবসময় খোলা মেলা জুতা পড়ার অভ্যাস করতে হবে। আটোসাটো জুতা হলেও পায়ের সমস্যা হয়।
হালকা গরম পানিতে পা ভেজানো
পায়ের কুনি পেকে বেশি ব্যাথা হলে অবশ্যই হালকা গরম পানিতে পা কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখলে ব্যাথা থেকে অনেক মুক্তি পাওয়া যাবে এবং পায়ের যে ফোলাভাব থাকে তাও আস্তে আস্তে কমে আসবে। দিনে দুই থেকে তিন বার আপনি হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখবেন।
তাহলে পায়ের কুনির ব্যাথা অনেক কমে আসবে। আপনার বিশ্বাস না হলে একবার এই ট্রিটমেন্ট দিয়েই দেখুন তাহলে বুঝবেন। হালকা গরম পানিতে পা ১০-১৫মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন।
নখের নিচে নরম তুলো অথবা কাপর দিয়ে রাখুন
পায়ের কুনি পেকে গেলে পা অস্বাভিক ফুলে যায় এবং প্রচুর ব্যাথা হয়। হাটার সময় ব্যাথা লাগে। এই জন্য বারে বারে গরম পানিতে পা ভেজানোর পর আপনাকে পা সুন্দর করে মুছে নিতে হবে এবং পায়ের আঙ্গুলো যেন ইনফেকশন না হয় তার জন্য পরিষ্কার নরম কাপর বা তুলো দিয়ে রাখতে হবে।
অনেক সময় পায়ের কুনি পেকে পা থেকে রক্ত বা পুজ বের হয় এবং সেগুলো অন্য আঙ্গুলে ভরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই নখের নিচে নরম তুলো অথবা কাপর দিয়ে রাখুন।
শুকনো মরিচ ও সরিষার তেল
বর্ষাকালে যখন পায়ের কুনি পেকে অসহ্য ব্যাথা হয় তখন আপনি যাদি পারেন তাহলে রাতে পা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে একটা শুকনো মরিচের মধ্যে সামান্য সরিষার তেল নিয়ে আগুনে দিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে।
তারপর সেই তেল পায়ের পাকা কুনিতে ফোটা ফোটা দিতে হবে তাহলে দেখবেন সারা রাতে পায়ের কুনির ব্যাথা ভালো হয়ে গেছে। এভাবে ৩-৪ দিন দিলে পায়ের কুনি পাকা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
ইপসম লবণ
ইপসম লবণ ব্যাথা ভালো করার জন্য বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। ইপসম লবণ আপনার আক্রান্ত পায়ের কুনির ত্বককে নরম করে রাখে। এক চামুচ ইপসম লবণ ৩-৪ লিটার পানিতে দিয়ে গরম করে নিন তার পর সেই পানিতে আক্রান্ত পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-২০ মিনিট।
তার পর পা ভালো করে মুছে নিন। এভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার করলে আপনার পা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। আপনার পায়ের কুনি যদি পাকে তাহলে এই পক্রিয়া টি ব্যবহার করে দেখুন।দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
উপরোক্ত বিষয় গুলো ছারাও পায়ের কুনি পেকে গেলে সরিষার তেল এবং হলুদ গুলিয়ে পায়ে লাগাতে পারেন। তাহলে ও পায়ের ব্যাথা অনেক ভালো হয়। তাছারাও আপেল সিডার ভিনেগার, সাবান, লেবু, চা গাছের তেল ব্যবহার করে পায়ের কুনির ব্যথা কমাতে পারবেন।
এবং পায়ের কুনি কাটার সময় অবশ্যই কুনি গুলো সোজা করে কাটার চেষ্টা করবেন। এবং নখগুলো পরিষ্কার করে রাখার চেষ্টা করবেন।আপনি প্রতিদিন বাইরে থেকে আসার পর পা ভালো করে ধুয়ে নিবেন এবং পায়ের কুনিতে পানি জমতে দিবেন না।
পায়ের নখের ইনফেকশন ঔষধ
পায়ের নখের ইনফেকশন ঔষধ ? পায়ের নকের কুনি পাকলে সেখান থেকে ক্ষত আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে এবং ইনফেকশন হয়ে যায়। আমাদের অনেক সময় হয়তো ডাক্তারের কাছে যেতে পারি না।
এই জন্য আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইড দেখি যে কোথাও যদি পায়ের নখের ইনফেকশনের ঔষধ খুজে পাই। তো বন্ধুরা অবশ্যই পাবেন আমাদের পোষ্টে পায়ের নখের ইনফেকশনের ঔষধ। আর কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা ও বিস্তারিত দেওয়া আছে।
তো আমাদের আগে জানতে হবে পায়ের নখের কুনি পাকার লক্ষন এবং প্রতিরোধের উপায়।নখের কুনি পাকা সেটা হাত হোক বা পা হোক। কুনি পাকলে অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে যায়।অনেক সময় হাত পা নোংরা হয়ে ব্যাকটেরিয়া জমে থাকার কারনে ইনফেকশান হয়ে যায়।
এই ইনফেকশন ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস অথবা ক্যান্ডিডা নামক এক ধরনের ইস্টের কারণে হয়ে থাকে। তো আজ আমরা জানবো নখের কুনি পাকার লক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ।
নখের কুনি পাকার লক্ষণ গুলো
১. নখের দুই পাশের কোন ভেঙ্গে যাওয়া। ২. নখের ভিতরে ফাকা ভাব তৈরী হওয়া। ৩. নখের সামনে বা নখের অর্ধেক হলুদ বা কালো রঙ্গের হয়ে যাওয়া। ৪. নখের চারপাশের ত্বক ফোলে যাওয়া বা খসখসে হয়ে চামরা উঠে যাওয়া। ৫. নখগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়া।
৬.আক্রান্ত নখ থেকে বাজে গন্ধ বেড় হওয়া। অনেকেই দাঁত দিয়ে নখের কুনি কেটে থাকে। দাঁত দিয়ে নখের কুনি কাটলে এই সমস্যা সহজেই হতে পারে। আবার অনেকেই অতিরোক্ত মেনিকিউর করে তার কারনে ও এই সমস্যা হতে পারে।
নখের কুনি পাকা প্রতিরোধের উপায় গুলো
১. হাত এবং পাক সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না। ২. কাদা পানিতে নামলে হাতে এবং পায়ে রাবার গ্লাভস পরিধান করতে হবে। ৩. অবশ্যই আপনাকে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
৪. হাতের নখে বা পায়ের নখে মরা চামরা থাকলে টেনে তোলার চেষ্টা করবেন না। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছিন্ন থাকার চেষ্টা করবেন। তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক পায়ের নখের ইনফেকশন ঔষধ কি?
পায়ের নখের ইনফেকশন ঔষধপায়ের নখের কুনি ইনফেকশান হলে সহজেই শনাক্ত করা যায়। এই অসুখ হলে সহজেই চিকিৎসা করা যায়। কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছারাই। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হলে আস্তে আস্তে বড় আকার ধারন করতে পারে।
অনেক সময় নখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। যদি আপনার পায়ের নখে ইনফেকশান হয় তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া প্রথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে পারেন।পায়ের নখের ইনফেকশন ঔষধ।
নখের এই ইনফেকশনের জন্য, প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ফবৎসধংরস (solution : Clotrimayole 1% Topical) সল্যুশন, নখের তিন পাশে ২ ফোঁটা করে, দিনে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন।ফাঙ্গাসরোধী ফ্লুকোনাজল জাতীয় ক্যাপসুল, ৫০ মিগ্রা দিনে ১ বার ৫-৭ দিন খেতে পারেন।
তবে, তা অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে বা ব্যবহার করতে হবে। তবে আমার মতে যেকোন রোগের চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করা উচিত।
পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায়
পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায়? অনেকের হাতের এবং পায়ের নখ অনেক পাতলা এবং নরম হয়ে থাকে। যার ফলে সামান্য চাপ লাগলে ভেঙ্গে যায়। আর নখ ভেঙ্গে গেলে তো হাতের এবং পায়ের চেহারা নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থায় কি করে নতুন নখ তাড়াতাড়ি গজানো যায়।
তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। তো বন্ধুরা আজ আমরা এই পোষ্টে হাতের এবং পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায় নিয়ে আপনারেদ কে কিছু বিশেষ পরামর্শ দিব। চলুন জেনে নেওয়া যাক পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায় কি?
কাঁচা রসুনের কোয়া
হাতের বা পায়ের নখ ভেঙ্গে গেলে দ্রুত গজানেরা জন্য কাঁচা রসুনের কোয়া কেটে নিয়ে নখের উপরে ঘষতে থাকুন। দিনে প্রায় ৩-৪ বার এভাবে ঘষতে থাকুন তাহলে আপনার নখ শক্ত হয়ে যাবে এবং নতুন নখ গজাতে সাহায্য করবে।
এই বিষয়টা অনেকেই হয়তো জানে না। যারা জানে না তাদের নিকট সংবাদ টা পৌছানোর চেষ্টা করবেন তাহলে তারাও হয়তো বা উপকৃত হবে। তো উপায় জানতে হলে নিচে পড়তে থাকুন।
পাকা কমলার রস
পাকা কমলার রস ডিমের সাদা অংশের সাথে মিশিয়ে নখের উপর ৮-১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন দেখবেন সহজেই নখ শক্ত হয়ে যাবে এবং তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকবে। তবে এই উপায় নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
যদি পারেন সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যবহার করবেন তাহলে তাড়াতাড়ি ফলাফল পাবেন। প্রিয় ভাই ও বোনেরা এই উপায়টা একবার প্রয়োগ করেই দেখেন ভালো ফলাফল পাবেন।
অলিভ অয়েল
অলিব অয়েল তেল নিয়মিত হাতের বা পায়ের নখে ম্যাসেজ করতে থাকুন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। দিনে দুই বার ৫ মিনিট করে অলিভ অয়েল তেল হাতের নকের উপরে ম্যাসেজ করুন তাহলে নখ তাড়াতাড়ি শক্ত হয়ে যাবে এবং দ্রুত বাড়তে থাকবে। পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায়।
পাকা টমেটোর রস
পাকা টমেটোর রস নখের উপরে মালিশ করতে থাকুন দিনে ২-৩ বার তাহলে দেখবেন দ্রুত হাতের নখ শক্ত হয়ে যাবে এবং বাড়তে থাকবে। কারন টমেটোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে যার ফলে নখ শক্ত করে এবং নখ গজাতে সাহায্য করে। পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায়
নারিকেল তেল
আমার মতে সবচেয়ে ভালো এবং সহজ উপায় হলো নিয়মিত নারিকেল তেল উঠে যাওয়া বা ভেঙ্গে যাওয়া নখে দিনে ২-৩ বার ৫ মিনিট ধনে ম্যাসেজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নারিকেল তেল প্রায় সবার ঘরেই থাকে। পায়ের নতুন নখ গজানোর উপায়
জলপাইয়ের তেল
আপনার নখ যদি ভেঙ্গে যায় বা উঠে যায় তাহলে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। জলপাইয়ের তেল সহজেই ত্বকে শোষে নেয় এবং ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে। যার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং নখ দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে।
জলপাইয়ের তেল হাতে পা পায়ের নখে ৫ মিনিট ধরে মালিশ করুন এবং হাত মোজা বা পা মোজা দিয়ে ৫-১০ মিনিট রাখুন দেখবেন ভালো ফলাফল পাবেন। আবার জলপাইয়ের তেল কুসুম গরম করে হাত ডুবিয়ে রাখলে নখ চকচকে হয়ে যাবে।
পায়ের নখ মরে যায় কেন
পায়ের নখ মরে যায় কেন? হাত পায়ের নখ শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ। বিশেষ করে হাত পায়ের নখ মেয়েরা নানা ভাবে সাজাই। আর এই নখ যদি মরে যায় বা হলুদ কালো বর্ন ধারন করে তাহলে নখ দেখতে খারাপ লাগবে।
কারন নখের যে কোন পরিবর্তন মানে নখের অসুখ। নখের পরিবর্তন হলেই বুঝবেন যে নখের সমস্যা হয়েছে। নখের পরিবর্তন হলে বুঝবেন শারিরিক বা অন্য যে কোন কারন থাকতে পারে।পায়ের নখ মরে যায় কেন এই প্রশ্ন টা অনেকেই করেন। কারন পায়ের নখ প্রায় মানুষেরই মরে যায়।
হাতের নখ এবং পায়ের নখ মরে যাওয়ার পেছনে অনেক কারন থাকতে পারে। নখ মরে যাওয়ার প্রধান করান হলো ভিটামিনের অভাব। মানে অপুষ্টির কারনে বেশির ভাগ মানুষের হাতের পায়ের নখ মনে যায়। যখন দেখবেন যে, আপনার নখ মরে যাচ্ছে বা ফেটে যাচ্ছে,
নখ ডেবে যাচ্ছে, বা নখ সহজেই ভেঙ্গে যাচ্ছে তখন মনে করবেন শরীরের ভিটামিন এ, বি, সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রেট্রিন, এবং ফলিক এসিডের মাত্রা কম আছে। যার ফলে নখে এই ধরনের সমস্যা হয়। পায়ের নখ মরে যায় কেন?
কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়? সে বিষয়ে আপনি কি জানেন। বন্ধুরা আজ আমরা এই পোষ্টে জানবো কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়। আমাদের প্রত্যেককেরি এই বিষয়টা জানা উচিত। কারন নখের সমস্যা প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে।
আবার সঠিক ভাবে যত্ন না নিলে নখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই বলেন পায়ের বা হাতের সঠিক যত্নর অভাবে নকের সমস্যা হয়ে থাকে। হ্যা বন্ধুরা ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয় আবার যত্নের অভাবেও হয়।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়? মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে নখের সমস্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। নখ কালো হয়ে যায়, নখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়,নখ সহজেই ভেঙ্গে যায়,
নখের ভিতরে রক্ত জমাট বেধে যায় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয়। আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। আপনার শরীল দুর্বল লাগবে এবং মাথা ঘোরবে।
নখের সমস্যা দুর করতে হলে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে হবে।কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়। কোন কোন খাবারে ভিটামিন ডি বেশি থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোন খাবারে ভিটামিন ডি বেশি থাকে
কোন খাবারে ভিটামিন ডি বেশি থাকে? শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার দেওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন ডি শরীরের হাড় মজবুত রাখে। এবং বিভিন্ন রোগ থেকে হেফাজত করে। তবে একটা কথা
ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে বড় উৎস হলো সূর্যের আলো। প্রত্যেকদিন সকালে রোদ গায়ে লাগালে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘার্তি পূরন হয়ে যায় এবং তার পাশাপাশি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার ও খেতে হবে। কোন খাবারে ভিটামিন ডি বেশি থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
- সামুদ্রিক মাছ
- কুসুম সহ ডিম
- দুধ
- মাশরুম
- দই ও পনির
- গরুর কলিজা ও মাংস
- শুকনো ডুমুর
- কাঠবাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার
- কিসমিস
- আলুবোখরা
- কমলা
- খেজুর
উপরোক্ত খাবার গুলো থেকে আপনি ভরপুর ভিটামিন ডি পাবেন। এই খবার গুলোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আপনি ইচ্ছে করলে এই খাবার গুলো খেয়ে আপনার শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাব দুর করতে পারবেন।
তবে সামদ্রিক মাছ, গরুর দুধ, এবং কুসুম সহ ডিম খেয়েও আপনি আপনার শরীরের ভিটামিন ডি অভাব পূরন করতে পরবেন সহজেই। এই খাবার গুলোতে শুধু ভিটামিন ডি নয় ভরপুর ক্যালসিয়াম ও আছে বটে।
হাতের নখ সুন্দর করার উপায়
হাতের নখ সুন্দর করার উপায়? আমরা প্রতিনিয়ত যেভাবে ত্বক ও চুলের যত্ন নেয় হাতের নখের যত্ন সেভাবে নেয় না। কিন্তু অনেকেই আছে হাতের পায়ের নখের বেশ যত্ন নেয়। এই রকম মানুষ অনেকেই জানতে আগ্রহী কিভাবে বাড়িতে বসে হাতের নখ সুন্দর করা যায়।
তো বন্ধুরা আজ আমরা সে বিষয়ে আপনাদের কে জানাবো। হাতের নখ সুন্দর করার কয়েকটি উপায় আছে যেগুলো আমরা বাড়িতে বসে করতে পারবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক হাতের নখ সুন্দর করার উপায় গুলো কি কি?
- দুই চামুচ লেবুর রস এবং এক চামুচ বেসুন মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। তারপর হাতের নখের উপর লাগিয়ে রাখুন মেহিদির মতো করে। এভাবে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন হাতের নখ চকচকে সুন্দর হয়ে যাবে।
- জলপাইয়ের তেল হালকা গরম করে হাতের নখ ডুবিয়ে রাখুন ৮-১০ মিনিট। তারপর দেখবেন হাতের নখ চকচকে হয়ে গেছে। হাতের নখ সুন্দর করার উপায়
- শীত গরম সব ঋতুতে ময়েশ্চারাইজার হাতের নখে লাগিয়ে রাখবেন তাহলে হাতের নখ ভালো থাকবে।হাতের নখ সুন্দর করার উপায়
- ব্রাশে টুথপেষ্ট নিয়ে দাঁত যেভাবে ব্রাশ করে সেভাবে হাতের নখ গুলো ব্রাশ করুন তাহলে নখ পরিষ্কার থাকবে এবং চকচকে হবে। হাতের নখ সুন্দর করার উপায়
- ঔষধের দোকানে দাঁত পরিষ্কার করার ট্যাবলেট পাওয়া যায়। সেই ট্যাবলেট গরম পানিতে মিশিয়ে সেই পানিতে ৫-১০ মিনিট হাত ভিজিয়ে রাখুন তাহলে দেখবেন নখ পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং নখ সুন্দর হবে।
- নিয়মিত ম্যানিকিউর করলে হাতের নখ শুধু সাদা হয় না নখ ভালো থাকে। নখ সাদা রাখার জন্য দোকানে কিনতে পাওয়া যায় নেল হোয়াইটনিং পেনসিল।
- হাতের নখ ভালো রাখার জন্য নখ কাটার সময় সাবধানে সুন্দর ভাবে কাটুন। আর দাঁত দিয়ে নখ কাটবেন না। এতে নখ খারাপ হয়ে যায়। এবং নখের কুনির সমস্যা হয়ে যায়। এখন আমরা এই পোষ্টে জানবো নখ কাটার সঠিক উপায় কি? জানতে হলে পড়তে থাকুন-
নখ কাটার সঠিক উপায়
নখ কাটার সঠিক উপায়? আমরা প্রত্যকেই নখ কাটি, কিন্তু সঠিক নিয়ম অনেকেই জানি না। উল্টা পাল্টা নখ কাটলে যে কত সমস্যা হয় তা হয়তো আমাদের ভালো করে জানা আছে। নখ ত্বকের অংশ। এবং অন্যান্য অঙ্গের মতো শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গ।
এই নখ দিয়েই আমরা অনেক ধরনের স্টাইল করে থাকি। বিশেষ করে মেয়েরা বেশি। এই নখের জন্যই আমাদের হাতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। তো বন্ধুরা চলুন জেনে নেওয়া যাক নখ কাটার সঠিক উপায় কি?
অনেকেই নখ কাটতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিপত্তি ঘটায়। নখ এমন ভবে কাটে যেন নখের নিচের চামরা বের হয়ে রক্ত বের হয়ে যায়। বন্ধুরা নখ কাটার আগে হালকা কুসুম গরম পানিতে হাত এবং পা কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার পর দেখবেন নখ নরম হয়ে যাবে।
তখন সহজেই কাটতে পারবেন। নখ কখনোই গভীর ভাবে কাটা যাবে না। নখ এমন ভাবে কাটতে হবে যেন হালকা একটু করে নখ লাগিয়ে থাকে। আর কখনোই ব্লেড দিয়ে নখ কাটবেন না। নখ কাটার সঠিক উপায়।
ব্লেড দিয়ে নখ কাটতে গেলে নখের মাংস কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অবশ্যেই নখ কাটার জন্য ধারালো নেইল কাটার ব্যবহার করবেন। আবার গোসল করার পর নখ কাটলেও নখ ভালো কাটা যায়। নখ এমন ভাবে কাটবেন যেন নখের মাথা খরখরে না হয়।
প্লেন হয় যেন। নখ শক্ত অবস্থায় কাটলে নখের মাথা খরখরে হয়ে যায়। এই জন্য নখ ভেজানোর পর পরই কাটতে হবে। নখ যেহেতু দ্রুত বারে সেই জন্য নিয়মিত ৫-৭ দিন পর পর নখ কাটার অভ্যাস করতে হবে।
নখের যত্ন না নিলে নখে অনেক সময় ভাঙ্গুর ধরে, কুনি পাকে, নখের রং পরিবর্তন হয় এবং নখ ফাঙ্গাস হয়ে যায়। অনেকেই এমন সমস্যায় ভোগে। এই ধরনের সমস্যা হওয়ার আগেই নখের সঠিক যত্ন নিতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন হাত ও পায়ের নখ কাটার সঠিক উপায় কি। আপনারা এই উপায় অবলম্বন করে নখ কাটবেন দেখবেন কোন ধরনের সমস্যা হবে না। বরং নখ গুলো ভালো থাকবে।নখ কাটার সঠিক উপায়।
পাঠকদের জন্য কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
পায়ের নখ কাটার আগে নরম করার উপায়?
উত্তরঃ পায়ের নখ কাটার আগে ৫-১০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। তার পর দেখবেন নখ গুলো নরম হয়ে যাবে। তখন সহজেই কাটতে পারবেন।
নখ বড় করতে গেলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ নখ বড়তে করতে গেলে লেবুর রস, কমলার রস, অলিভ অয়েল, ইত্যাদি লাগাতে হবে। আরো ভালো করে জানতে হলে উপরের লাইন পড়ুন তাহলে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন নখ বড় করতে গেলে কি করতে হবে।
নখ বড় হতে কত দিন লাগে?
উত্তরঃ নখ বড় হতে প্রায় ৪-৫ সপ্তাহ লাগে। তবে হাতের নখের তুলনায় পায়ের নখ খুব ধিরে বড় হয়। তবে আপনি কি পরিমান বড় করবেন সেটার সময় আপনার উপর নির্ভর করে।
হাত পায়ের নখ বড় করা কি হারাম?
উত্তরঃ কোরআন হাদিসে নখ বর করা নিয়ে কোন বিধি নিষেধ নেই। তবে নখে নেল পালিশ দিয়ে অজু হবে না। আর আমরা চেষ্টা করবো হাতের নখ এবং পায়ের নখ ছোট রাখার এবং পরিষ্কার পরিচ্ছিন্ন রাখার।
কতদিন পর পর নখ কাটা উচিত?
উত্তরঃ নখ আপনি সপ্তাহের যে কোন দিনে কাটতে পারবেন। তবে শুক্র বারে নখ কাটলে ভালো হয়। এতে আপনারা বুঝতে পারছেন নিশ্চয় ৬-৭ দিন পর পর নখ কাটলে হাত পরিস্কার থাকে।
নখের ইনফেকশনের জন্য কোন মলম ভালো?
উত্তরঃ আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম লিখে দিতে পারেন, যেমন ইফিনাকোনাজোল (জুবলিয়া) এবং টাভাবোরোল (কেরিডিন)। আপনি ভেজানোর পরে এই পণ্যটি আপনার সংক্রামিত নখগুলিতে ঘষুন। আপনি যদি প্রথমে নখ পাতলা করেন তবে এই ক্রিমগুলি আরও ভাল কাজ করতে পারে।
নখের ফাংগাল ইনফেকশনের ঔষধ কি?
উত্তরঃ নখের ফাংগাল ইনফেৃকশনের ঔষধ হলোঃ-
- ফিনট্রিক্স ১% ক্রিম
- মাইকোফেম ১% ক্রিম
- টেবিনা ১% ক্রিম
লেখকের শেষ কথাঃ পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান
প্রিয় পাঠক আপনারা এই পোষ্ট থেকে পায়ের কুনি পাকার সমস্যার সমাধান পেয়ে গেলেন। আপনারা অবশ্যই উপরের নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন তাহলে পায়ের কুনি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না। আর আমাদের আরর্টিকেল টি পড়ে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই পরিচিতদের মধ্যে সেয়ার করবেন প্লিজ।
আর কোন ধরনের ভুল থাকলে অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন। আরো বিভিন্ন বিষয়ে জানতে হলে ভিজিট করুন আমাদের এই ওয়েবসাইড। আরর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্য বাদ।
বাংলা আইটিটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url